জুতোর তলায় লেখা 'আল্লাহ'! বিতর্কে জনপ্রিয় ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা
এর আগে ১৯৯৭ সালে নাইকি-র এয়ার বেকিন স্নিকারও একইভাবে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আরবি হরফে আল্লাহ লিখলে ঠিক যেমন দেখায়, এখানেও অবিকল তেমনই অক্ষরে লেখা। যা থেকে প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ল জনপ্রিয় ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা নাইকি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ এই ব্যাপারে প্রবল অসন্তোষ জাহির করেছে। অবিলম্বে এই বিশেষ মডেল-এর জুতোর উত্পাদন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। নাইকি-র ম্যাক্স ২৭০ স্নিকার মডেল-এর জুতোর নিচের অংশে লেখা একটি বিশেষ হরফের জন্যই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। এই মডেলের স্পোর্টস শু-টি নাইকির ট্রেনার সেকশন-এর জন্য সবেমাত্র বাজারে এসেছে। কিন্তু শুরুতে বিপত্তি।
আরও পড়ুন- ধোনির মতো নো-লুক রান আউট করলেন এবার 'আফগান ধোনি'
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য জাকার্তা পোস্ট এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাইগা নওরিন নামক এক মুসলিম ক্রেতা নাইকির শো-রুমে গিয়ে প্রথম ব্যাপারটি লক্ষ্য করেন। পরে তিনি নাইকির বিরুদ্ধে অনলাইনে পিটিশন চালু করেন। তাঁর অভিযোগ, জুতোয় এই ধরণের ডিজাইন মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। তিনিই প্রথম এই মডেল-এর জুতোটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার দাবি তোলেন। পরে তাঁর দাবিতে সায় দেন বহু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।
আরও পড়ুন- ‘হারের জবাবদিহি চাই’, পিতার সমালোচনায় পুত্র
নওরিন লিখেছেন, "এই জুতো নিশ্চিতভাবেই কাদা বা নোংরা কোনও বস্তুর সংস্পর্শে আসবে। এছাড়া এই জুতো দিয়ে লাথি, পদদলনও হবে কখনও না কখনও। যা আমাদের ভাবাবেগে আঘাত করবে। জুতোর নিচের অংশে এভাবে আরবি হরফে আল্লাহ লেখাটা গুরুতর অপরাধ।" ২৫ হাজার স্বাক্ষর জোগাড় করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন নওরিন। ইতিমধ্যেই ১৯,৫০০ জন স্বাক্ষর জোগাড় করে ফেলেছেন তিনি। নাইকি অবশ্য এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, নেহাতই কিছুটা কায়দা করে 'নাইকি এয়ার ম্যাক্স' লেখা হয়েছে জুতোর নিচের অংশে। ব্যাপারটি কাকতালীয়। এর আগে ১৯৯৭ সালে নাইকি-র এয়ার বেকিন স্নিকারও একইভাবে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। সেবার চাপে পড়ে বাজার থেকে মডেলটি তুলে নিয়ে বাধ্য হয়েছিল নাইকি।