Alexis Mac Allister: খুব করে চেয়েও করেননি এই কাজ! কিংবদন্তির সম্মানেই এই সিদ্ধান্ত বিশ্বকাপ জয়ীর
Alexis Mac Allister reveals he hesitated taking Number Eight at Liverpool: বোকা জুনিয়র্স থেকে লিভারপুলে এসেছেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। ক্লাবে এসেই তিনি জানিয়ে দিলেন যে, কিংবদন্তির সম্মানে কোন কাজ তিনি করেননি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর্জেন্টিনার (Argentina) বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (Alexis Mac Allister)। লিয়োনেল মেসির (Lionel Messi) সঙ্গে কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে কাতারে কাপযুদ্ধে শেষ হাসি হেসেছেন। ২৪ বছরের ফুটবলারের খেলা অনেকেরই মনে ধরেছিল। ম্যাক অ্যালিস্টার। সদ্যই তিনি বোকা জুনিয়র্স (Boca Juniors) থেকে লোনে পাঁচ বছরের জন্য এসেছেন প্রিমিয়র লিগের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব লিভারপুলে (Liverpool)। জানা যাচ্ছে ম্যাক অ্যালিস্টার অ্যাড-অন ফি'স নিয়ে ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড পাবেন। আর লিভারপুলের জার্সিতেই এক সময়ে প্রিমিয়র লিগ মাতিয়েছেন ইংল্যান্ডের তারকা স্টিভেন জেরার্ড (Steven Gerrard)। তিনি আট নম্বর জার্সি পরেই খেলেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত লাল জার্সিতে ইতিহাস লিখেছেন জেরার্ড। ম্যাক অ্যালিস্টারের কাছে সুযোগ ছিল জেরার্ডের আট নম্বর জার্সি বেছে নেওয়ার। কিন্তু ম্যাক অ্যালিস্টার বলছেন যে, জেরার্ডের প্রতি সম্মানের জন্যই তিনি আটের বদলে দশ নেন। যদিও আট নম্বর তাঁর পছন্দ হয়েছিল।
ম্যাক অ্যালিস্টার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'একদিন আমি বাবার সঙ্গে কথা বলছিলাম। বাবা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, আমি লিভারপুলে কত নম্বর জার্সি পরতে চলেছি? আমি জানতাম যে, আমার কাছে আট ও দশ নম্বর জার্সি বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। তবে আট নম্বর জার্সি এই ক্লাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা জেরার্ড পরতেন। তাই ওটা গায়ে চাপাতে আমি ইতস্তত বোধ করেছিলাম। আমি আটের বদলে দশ বেছে নিই। আমার আট নম্বর জার্সি খুবই পছন্দের ছিল। আমি এই ক্লাবের ইতিহাস জানি। লিভারপুলে যোগ দিয়ে আমার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এখানে এসে দারুণ লাগছে। আমি লিভারপুলের হয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আমি প্রাক-মরসুমের প্রথম দিন থেকেই ছন্দে থাকতে চাই। সব হয়ে গিয়েছে এখন। সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে আছি।' কাতার বিশ্বকাপশুরু হওয়ার আগে থেকেই, একটা কথাই বারবার সকলে বলছিলেন, মেসির হাতে কাপ না উঠলে সম্ভবত 'পোয়েটিক জাস্টিস' হবে না। আর ফুটবল বিধাতা সেটাই করেছিলেন। মেসির মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছেন। লুসেল স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের ফয়সলা হয়েছিল পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসে।