নাসিরুদ্দিনের পর এবার গম্ভীরের বেনজির আক্রমণ কোহলিকে

ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে অনিল কুম্বলের অপসারণ প্রসঙ্গেও কোহলিকে একহাত নিলেন গম্ভীর।

Updated By: Dec 23, 2018, 11:35 AM IST
নাসিরুদ্দিনের পর এবার গম্ভীরের বেনজির আক্রমণ কোহলিকে

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঠোঁটকাটা স্বভাবের তিনি। উল্টোদিকে যে-ই থাকুক না কেন, তিনি সোজা কথা সোজাভাবে বলতে কখনও পিছু হটেননি। ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন বিরাট কোহলি হলেও তাঁর ঠোঁট কাঁপে না। কিছুদিন আগেই এমএস ধোনিকে আক্রমণ করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। এবার তাঁর নিশানায় কোহলি। সাম্প্রতিককালে অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের মতো আক্রমণাত্মভাবে বিরাট কোহলির সমালোচনা হয়তো কেউ করেননি। কিন্তু এবার গম্ভীর যেভাবে বিরাটকে আক্রমণ করে বসলেন, তা কোনও অংশে কম নয়। কোহলির সঙ্গে গম্ভীরের সম্পর্কের তিক্ততা অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটে কারও অজানা নয়। 

আরও পড়ুন-  রেগে গেলে মাঠে কেমন আচরণ করেন বিরাট, বিতর্কিত ভিডিও পোস্ট করে বোঝালেন অজি সাংবাদিক

সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কারে দিতে গিয়ে বিরাটকে তুলোধনা করলেন গম্ভীর। এমনিতেই ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া ইস্তক কোহলির আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা চলছেই। কেউ কেউ কোহলির আক্রমণাত্মক মনোভাবকে সঙ্গত বলছেন। কেউ আবার ব্যাপারটাকে বাড়াবাড়ি বা শো-অফ আখ্যা দিয়ে ফেলেছেন। গম্ভীর অবশ্য এক্ষেত্রে ধরি মাছ না ছুঁই পানি কায়দা অবলম্বন করলেন। কোহলির আগ্রাসন প্রসঙ্গে বললেন, ''মাত্রা বজায় রেখে আগ্রাসন বজয়া রাখলে কোনও ক্ষতি নেই। আমার কাছে আগ্রাসন মানে খারাপ কিছু নয়। কিন্তু সেটা ব্যক্তিগত পর্যায় হলে মুশকিল। জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মানে গোটা দেশের রোল মডেল বনে যাওয়া। এক্ষেত্রে আগ্রাসন বজায় রাখারা ক্ষেত্রে সীমা-পরীসীমার কথাটা মাথায় রেখে চলতেই হবে।'' 

আরও পড়ুন-  আপনার মুখে দেশপ্রেমের কথা মানায় না, নাসিরুদ্দিন শাহকে তুলোধনা ওলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগীরের

ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে অনিল কুম্বলের অপসারণ প্রসঙ্গেও কোহলিকে একহাত নিলেন গম্ভীর। বললেন, ''ভারতীয় ক্রিকেটের অন্ধকার অধ্যায় ওটা। গোটা দল যদি কাউকে অপছন্দ করে তা হলে একজন কোচের সরে দাঁড়ানো শ্রেয়। তবে যদি দলের কোনও একজন কাউকে অপছন্দ করে তা হলে অন্য ব্যাপার। সেক্ষেত্রে যিনি অপছন্দ করেন তাঁর স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিপরীত দিকে থাকা মানুষটির সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়া উচিত।'' এর পরই সরাসরি কোহলিক আক্রমণ করে বসেন সদ্য অবসর নেওয়া গম্ভীর। ''ভারতীয় ক্রিকেট দলের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা দেশ। তাই ওঁর ইগো বিসর্জন দিয়ে মাঠে নামা উচিত। দেশের অধিনায়ক মানে কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করতে হলে অনেক সময় অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়।''

.