স্প্যানিশ আর্মাডার সোনার দৌড় থমকে গেল ব্রাজিলীয় ঐতিহ্যের কাছে
মারাকানায় হলুদ-সবুজ ঝড়। স্প্যানিশ আর্মাডার সোনার দৌড় থামিয়ে দিয়ে কনফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ব্রাজিল। ফ্রেড,নেইমারদের হাত ধরে বিশ্বফুটবলে প্রত্যাবর্তন হল সাম্বা ফুটবলের। হাইপ্রোফাইল ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে তিন-শূন্য গোলে হারিয়ে দেয় ব্রাজিল।
মারাকানায় হলুদ-সবুজ ঝড়। স্প্যানিশ আর্মাডার সোনার দৌড় থামিয়ে দিয়ে কনফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ব্রাজিল। ফ্রেড,নেইমারদের হাত ধরে বিশ্বফুটবলে প্রত্যাবর্তন হল সাম্বা ফুটবলের। হাইপ্রোফাইল ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে তিন-শূন্য গোলে হারিয়ে দেয় ব্রাজিল।
ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেন ফ্রেড। অপর গোলটি করেন নেইমার।
উনত্রিশ ম্যাচ পর হারের মুখ দেখলেন জ্যাভি,ইনিয়েস্তা-রা। হাইপ্রোফাইল ফাইনালে স্পেনকে তিন-শূন্য গোলে উড়িয়ে দিয়ে কনফেড জয়ের হ্যাটট্রিক সেরে ফেললেন নেইমাররা।
প্রথমবার কনফেড কাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল স্পেনের। ঠিক এগারো বছর আগে ব্রাজিলকে পঞ্চমবারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন স্কোলারি। সেই বিগ ফিলের হাত ধরেই চার বছর পর কোনও ট্রফি পেল ব্রাজিল। মেগা ফাইনালে ফেভারিট হিসাবেই মাঠে নেমেছিল ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু স্কোলারির স্ট্র্যাটেজি আর অস্কার,নেইমারদের গতি আর স্কিলের মিশেল সাধারণ পর্যায়ে নামিয়ে আনল জ্যাভি,ইনিয়েস্তাদের।
মাত্র নব্বই সেকেন্ডেই গোল করে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। হাল্কের ক্রশ থেকে গোল করে যান ফ্রেড। শুরুতেই গোল ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় স্পেনকে। ইনিয়েস্তাদের পাসিং ফুটবল আটকে দিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ছন্দ নষ্ট করে দেন ব্রাজিলীয়রা। প্রথমার্ধে ব্রাজিলকে লাইফলাইন দেয় ডেভিড লুইজের গোললাইন সেভ। বিরতির ঠিক আগে স্বপ্নের গোলে ব্রাজিলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান নেইমার। অস্কারের পাস থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত শট ক্যাসিয়াসকে পরাস্ত করেন ব্রাজিল ফুটবলের নতুন পিন আপ বয়।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফ্রেডের অবনদ্য গোল স্প্যানিশ আর্মাডার হার নিশ্চিত করে দেয়।
টুর্নামেন্টে পাঁচ গোল করেন তরুণ এই স্ট্রাইকার। ডেভিড ভিয়া আর ন্যাভাসকে নামিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন স্পেন কোচ দেল বস্কে। পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমে ন্যাভাস দলকে পেনাল্টি এনে দিলেও গোল করতে পারেননি রিয়ালের ডিফেন্ডার সার্গিও র্যামোস।আটষট্টি মিনিটে জেরার্ড পিকে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তেই স্পেনের যাবতীয় আশা শেষ হয়ে যায়।
মারাকানা জুড়ে তখন শুধুই হলুদ জার্সির দাপট। ব্রাজিলের হয়ে প্রথম বড় টুর্নামেন্টেই চমক দিলেন নেইমার। ফাইনালে অনবদ্য ফুটবল খেলেন ব্রাজিলীয় তারকা।শুধু গোল করাই নয়,ফ্রেডকে দিয়ে গোলও করান টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার।বুঝিয়ে দিলেন রোনাল্ডো,রোনাল্ডিনহোদের উত্তরসূরি হতে তিনি প্রস্তুত। তিন বছরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। মারাকানায় স্পেনের হারের পর তিকিতাকার ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। অন্যদিকে ব্রাজিল ফুটবলে নতুন সূর্যোদয় ঘটালেন স্কোলারি।একঝাঁক তরুণ ফুটবলারদের দিয়ে বিশ্বফুটবলে সাম্বার প্রত্যাবর্তন ঘটালেন বিগ ফিল। সোমবার ভোর থেকেই নেইমার,ফ্রেডদের হাত ধরে তিনশো আটাত্তর দিন পর ষষ্ঠবারের জন্য বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু ব্রাজিল ফ্যানেদের।