1/16
2/16
3/16
মাত্রুভূমি (২০০৩)
পরিচালক-মনীশ ঝা। নারীশূন্য ভূমিতে একমাত্র নারীর প্রতি পাঁচ পুরুষের অধিকার কায়েমের চেষ্টা, গণধর্ষণ, শিশুকন্যার জন্ম এবং অবশেষে পিতৃত্বের অধিকারের লড়াইয়ে্ পরস্পরকে হত্যা। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নারী বঞ্চনার অন্যতম চিত্রায়ন। নারীশূন্য পৃথিবীর ভয়াবহতাকে তুলে ধরে এই ছবি।
ভেনিস চলচ্চিত্র উংসব সহ বহু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে সমাদৃত।
4/16
ডোর (২০০৬)
পরিচালক-নাগেশ কুকনুর। একজনের স্বামীর হত্যাকারী অপরজনের স্বামী। একজন চান স্বামীর হত্যাকারীর শাস্তি, অন্যজন প্রাণপনে চান স্বামীকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে। দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে থাকা দুই নারীর ভাগ্য বাঁধা ছিল কোনও অদৃশ্য ডোরে। বিপদ ও অসহায়তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা দুই নারীর বন্ধুত্ব ও দ্বন্দ্বের মর্মস্পর্শী কাহিনি ডোর।
বক্সঅফিস পাত্তা না দিলেও প্রশংসা ও পুরস্কারে ভরিয়ে দিয়েছিলেন সমালোচকরা। দুই মুখ্য চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন গুল পনাঙ্গ ও আয়েষা টাকিয়া।
5/16
6/16
7/16
8/16
সেলুলয়েডের সাহসিনীরা
বিভিন্ন সময়ে ভারতের সংবেদনশীল পরিচালকদের ছবিতে বহু সাহসিনী নারীদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে আমাদের। যারা সকলেই আপন ভাগ্য জয় করিবার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন দশকে রুপোলি পর্দার এইসব নারীরাই দেশের মহিলাদের সাহস জুগিয়েছেন, স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন, হয়ে উঠেছেন নারীদের অনুপ্রেরণার জিয়নকাঠি। সমস্যা জর্জ্জরিত দেশে বলিউড যেখানে সমাজের আয়না, সেখানে এইসব নারীদের দেখেই কেউ কেউ ফেলেছেন স্বস্তির নিশ্বাস। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সেলুলয়েডের সেইসব নারীদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ।
9/16
মাদার ইন্ডিয়া (১৯৫৭)
পরিচালক-মেহবুব খান। ঋণের বোঝায় বাধ্য হয়ে বিয়ে, একা মায়ের সন্তানদের মানুষ করা, সন্তানের অকলামৃত্যু ও সন্তানদের ভবিষ্যতের স্বার্থে বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম নারীকেন্দ্রিক ছবি।
অস্কারে বিদেশি ছবির বিভাগে মনোনয়ন আদায় করে নেয় মাদার ইন্ডিয়া। সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান নার্গিস। প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে বিদেশি সম্মানও পান তিনি। চেক রিপাবলিকের বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন নার্গিস।
10/16
দামিনি (১৯৯৩)
পরিচালক-রাজকুমার সন্তোষী। নিজের শ্বশুরবাড়িতেই দেওরের বন্ধুদের হাতে পরিচারিকার ধর্ষণ দেখে ফেলেছিল দামিনি। পরিবার থেকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, দামিনিকে পাগল প্রতিপন্ন করার চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায় নির্ভয় দামিনি। হাসপাতালে ধর্ষিতার মৃত্যু হলেও আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয় দামিনি।
সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার জেতেন মীনাক্ষি শেসাদ্রি।
11/16
12/16
13/16
14/16
15/16
চক দে ইন্ডিয়া (২০০৭)
পরিচালক-সিমিত আমিন। প্রত্যেকে জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়েও শুধু মহিলা হওয়ার কারণে বিদেশে খেলতে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়া, ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা এক দল লড়াকু মেয়ের স্বপ্নপূরণের কাহিনি।
৫টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ছাড়াও আরও বহু পুরস্কার এসেছিল চক দে-র ঝুলিতে। তবে চক দে ইন্ডিয়ার সবথেকে বড় সাফল্য বোধহয় ভারতের হকিপ্রেমী একগুচ্ছ প্রতিভাময়ীকে স্বপ্ন দেখার সাহস জোগানো।
16/16