Jean-Luc Godard: যে ছ'টি ছবির জন্য মানুষ চিরকাল গোদারকে মনে রাখবে...

তিনি মূর্তিমান আইকনোক্ল্যাস্ট। ঐতিহ্যের মোড় ফিরিয়ে দেন শক্ত হাতে। তৈরি করেন নতুন পথ। তাই বোধ হয় ফরাসি নুভেল ভাগের সঙ্গে খুব সাবলীল ভাবেই অন্বিত হয়ে গিয়েছিল তাঁর নাম, তাঁর মুখ। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হলেন নবতরঙ্গের অন্যতম মুখ অনন্য় চিত্রপরিচালক জাঁ লুক গোদার। ফরাসি ছবির নবজন্মদাতাদের একজন তিনি। ১৯৫০ সালে মূলত ফ্রান্সে এবং পরবর্তী কালে গোটা ফিল্মি-বিশ্বে নবতরঙ্গের ধারার যে-ছবি বিশেষ সাড়া ফেলেছিল তার প্রাণপুরুষদের অন্যতম গোদার।

| Sep 14, 2022, 18:35 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি মূর্তিমান আইকনোক্ল্যাস্ট। ঐতিহ্যের মোড় ফিরিয়ে দেন শক্ত হাতে। তৈরি করেন নতুন পথ। তাই বোধ হয় ফরাসি নুভেল ভাগের সঙ্গে খুব সাবলীল ভাবেই অন্বিত হয়ে গিয়েছিল তাঁর নাম, তাঁর মুখ। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হলেন নবতরঙ্গের অন্যতম মুখ অনন্য় চিত্রপরিচালক জাঁ লুক গোদার। ফরাসি ছবির নবজন্মদাতাদের একজন তিনি। ১৯৫০ সালে মূলত ফ্রান্সে এবং পরবর্তী কালে গোটা ফিল্মি-বিশ্বে নবতরঙ্গের ধারার যে-ছবি বিশেষ সাড়া ফেলেছিল তার প্রাণপুরুষদের অন্যতম গোদার।

ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে তিনি ছবিনির্মাণের সংজ্ঞাই বদলে দিলেন। ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে বদলে দিলেন ক্যামেরার সামনের দৃশ্য। তাঁর ছবি তাই চিরকাল একটা দেওয়াল হয়ে রয়ে যাবে-- যে দেওয়ালের দুদিকের দু ধরনের ছবি। তিনি যেন সেই বিলীয়মান এবং আসন্ন ছবির মাঝখানে অপূর্ব একা! ১৯৬০-এর দশক জুড়ে গোদারের সোনার সময়। একের পর এক ব্যতিক্রমী ছবি উপহার দিয়েছেন। গোদার সব চেয়ে বেশি বিখ্যাত 'ব্রেথলেস' এবং 'আলফাভিলে' ছবির জন্য। বিশ্বচলচ্চিত্রের ক্লাসিকের মধ্যে পড়ে তাঁর সৃজন। 'ব্রেথলেস' ছবির নির্মাণকৌশল মুগ্ধ করেছিল বিশ্বচলচ্চিত্ররসিকদের। এ ছবির ব্যতিক্রমী ভিজুয়্যাল স্টাইল এক অন্যরকম নির্মাণ-ঐতিহ্য তৈরি করে দিয়েছিল।

(জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো এখানে ছবি বাছাই করে দিচ্ছে না; জাঁ-লুক গোদারের যে-সব সিনেমা চিরকাল শিল্পরসিকের প্রশংসা পেয়ে এসেছে, সেটাই শুধু পাঠকদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।)

1/6

'ফ্যাটালিস্টিক রোমান্স'

১৯৬০ সালের ছবি। দেড় ঘণ্টার এ ছবিকে বলা হয়েছিল 'ফ্যাটালিস্টিক রোমান্স'। 'ব্রেথলেস' তার দর্শককে রুদ্ধশ্বাস করে দিয়েছিল। শোনা যায়, এ ছবি মুগ্ধ করেছিল সত্যজিৎকেও। প্রেমের ছবি, কিন্তু একেবারে অন্যরকম ট্রিটমেন্ট। প্রথম ছবিতেই মাত করে দিলেন গোদার। 'লা নুভেল ভাগ' তথা 'ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ'-এর দরজা যেন খুলে গেল!

2/6

মাইলস্টোন

'ভিভরে সা ভিয়ে' তথা 'মাই লাইফ টু লিভ' আর একটি মাইলস্টোন। গোদারের এই ছবিতে 'ট্র্যাজিক বিউটি' হিসেবে উঠে এসেছিলেন আনা কারিনা। তিনি যেন নিউ ওয়েভের 'মিউজ' হয়ে উঠলেন। অভিনয়ের একটা পরিমিতি এবং তার পাশাপাশি রহস্যময় স্বতঃস্ফূর্ততা গোদার ও আনা কারিনাকে অনন্য জুটি হিসেবে তুলে ধরল।

3/6

ব্যাটলগ্রাউন্ড

বলা হয়েছিল, এ ছবি অবশ্যই বুদ্ধির দীপ্তিময় উদযাপন কিন্তু তাতে মিশে আছে অনেক কিছু। ছবিটি আসলে যেন একটা ব্যাটলগ্রাউন্ড। যেখানে রয়েছে প্রেম, ঘৃণা, লড়াই, হিংসা, মৃত্যু; আর তাতে মিশে আছে অমিত আবেগ। এ ছবি ফরাসী ছবিতে, বিশ্বসিনেমাতেও একটা কাল্ট।

4/6

শুরুর আগেই শেষ

এ ছবি যেন অনেকটা 'পিয়েরো লে ফাউ'-এরই অনুবর্তী, সিক্যুয়েলধর্মী। কিন্তু না, সম্পূর্ণত তা বলা যায় না। কেননা, 'ফার্স্ট নেম: কারমেন' ছবিতে আগের ছবির মতো কোনও বিষাদাচ্ছন্ন রোমান্টিকতা নেই। এখানে লাভ স্টোরি শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায়!  

5/6

অন্ধকার থিয়েটারে ম্যাজিক

১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের ছবি 'গুডবাই টু ল্যাঙ্গোয়েজ'। ২০১৪ সালের ছবি। বৃদ্ধ গোদারের হাতে যেন ফুল ফুটল। ছবিনির্মাণকে আবার যেন নতুন করে সংজ্ঞায়িত করলেন তিনি। কালো অন্ধকার থিয়েটারের স্বল্পপরিসরে কী ম্যাজিক যে ঘটতে পারে, এ ছবি না দেখলে তা যেন সম্পূর্ণ উপলব্ধি করা যায় না। 

6/6

এবং আর একটি মুক্তো

এবং আর একটি মুক্তো। 'দ্য ইমেজ বুক'। এটিও শেষবেলার গোদারের বিচ্ছুরণ। ২০১৮ সালের ছবি। সময় এতে আরও কম-- ৮৫ মিনিট। এ ছবিতে তিনি আবার প্রমাণ করলেন, তাঁর দেশের সিনেমাশিল্প যে-উচ্চতাতেই উঠে যাক, সেই বিপুল নির্মাণের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ আজও তিনি। কিছু পরস্পরবিচ্ছিন্ন দৃশ্য ও শব্দকে এক আলংকারিক ছন্দে গ্রথিত করে যেন নির্মাণ করেছিলেন এই ছবি।