কাল থেকে লোকাল! স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায় এড়াচ্ছে রেল-রাজ্য

Nov 10, 2020, 11:46 AM IST
1/5

সুতপা সেন: কাল থেকেই ফের সচল হবে লোকাল ট্রেনের চাকা। একে করোনা পরিস্থিতি। তার ওপর লোকালে প্রবল ভিড়ের সম্ভাবনা। নয় মাস পর লোকাল চালুর প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্ন হয়, তা নিয়ে সতর্ক রাজ্যে এবং রেল দু-পক্ষই। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কে নেবে তা নিয়ে একে অন্যের কোটে বল ঠেলছে। আজ সকালে একটি SOP জারি করে নবান্ন। অন্যান্য বিধিনিষেধের সঙ্গে জানানো হয়ে যে, স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কোনও সিস্টেম প্রয়োজন হলে তা করবে রেল। যদিও এর আগে রাজ্যকেই এই সিস্টেম তৈরি করতে বলেছিল রেল।

2/5

করোনা আবহে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে সতর্ক রাজ্যও। এ বিষয়ে সোমবার নবান্ন থেকে দশ জেলার ডিএম, এসপি এবং সিপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে যে, * শুধুমাত্র বৈধ প্যাসেঞ্জাররাই স্টেশনে ঢুকবেন। তা নিশ্চিত করতে ঢোকা ও বেরনোর রাস্তা নির্দিষ্ট করতে হবে। স্টেশনের বাইরে থাকবে পুলিস * স্টেশনে ঢোকার আগে থার্মাল চেকিং, মাস্ক আছে কিনা তা দেখতে হবে * স্টেশনের বাইরে বা রাস্তা সংলগ্ন রেললাইনে জটলা এড়াতে নজর রাখবে পুলিস * পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল পরিষেবা চালু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রী বিক্ষোভের আশঙ্কা থাকছেই। তাই বিক্ষোভ বা * অবরোধ এড়াতে সতর্ক রাজ্য এবং রেল, দুপক্ষই। 

3/5

গতকালই লোকাল চালুর আগেই রাজ্যকে SOP নিয়ে চিঠি দিয়েছে রেল। রেলের দেওয়া SOP অনুযায়ী, বিভিন্ন স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর পথে পর্যাপ্ত পুলিস রাখা হোক, প্রয়োজনে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা থাকুক। সব বড় স্টেশন এবং জেলার জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করুক রাজ্য। প্ল্যাটফর্ম এবং রেলের কামরায় হকার ও ভেন্ডারদের নিয়ন্ত্রণ করা হোক। স্টেশনের ভিতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রেল পুলিস।

4/5

বিভিন্ন স্টেশনের ঢোকা ও বেরনোর রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিস চায় রেল। রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণেও পুলিসি সাহায্য চায় রেল। প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের কামরায় হকার ও ভেন্ডার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে রেল। হাওড়া স্টেশনের পাশাপাশি শিয়ালদহ স্টেশনেও চরম ব্যস্ততা। সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, তারজন্য প্রত্যেক প্ল্যাটফর্ম এবং টিকিট কাউন্টারের সামনে সাদা রং দিয়ে গোল চিহ্ন আঁকা। শুধু ট্রেনের ভিতর ও বাইরে নয়। স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম চত্বরেও। কারণ করোনা আবহে ট্রেন চালানোই রেলের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

5/5

গত সোমবার রাজ্য পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে রেল। স্টেশনে যাতায়াতের জন্য যাতে পর্যাপ্ত বাস-ট্যাক্সি সহ পরিবহণের সব ব্যবস্থা থাকে তা নিয়ে কথা হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার  সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করবে পরিবহণ দফতর। বুধবার থেকে বাস মালিকদের পুরোদমে বাস চালানোর অনুরোধ করা হবে। ফেরি পরিষেবাও বুধবার থেকে পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে।