1/11
এক পূর্ণিমার রাতে বালিগঞ্জে অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছেন। সঙ্গে অন্য আরও কয়েকজন। হঠাত্ই মত বদলে ডায়মন্ড হারবার পাড়ি। ডায়মন্ড হারবারে যখন পৌঁছলেন তখন রাত গভীর। অনেক ডাকাডাকির পরে একটি দোকান থেকে একটি ছোট ছেলে বেরিয়ে এসেছিল। তার চেষ্টায় একটি শতরঞ্চিও মিলেছিল। সেটা পেতেই জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাতে শুরু হয়েছিল গানের আসর। সে রাতে ভীষ্মদেব গেয়েছিলেন যোগিয়া। ১৯৭৭ সালে আজকের দিনে এই ৮ অগস্ট তাঁর মৃত্যু।
2/11
photos
TRENDING NOW
3/11
১৯০৯ সালে হুগলির পান্ডুয়ায় ভীষ্মদেবের জন্ম। তাঁর বাবা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, মা প্রভাবতী দেবী। মাত্র এক বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। ছোট থেকেই জাগতিক বিষয়ে ভীষ্মদেবের তেমন আকর্ষণ ছিল না। প্রথমে সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। পরে ক্যালকাটা ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তী সময়ে পড়াশোনা বিদ্যাসাগর কলেজে।
4/11
5/11
১৯২০ সালে মাত্র এগারো বছর বয়সে ভীষ্মদেব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট হলে এক অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাঁর গান শুনে পুষ্পস্তবক দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন। রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামীও তাঁর গান শুনে আশীর্বাদ করেন। ১৯২৩ সাল নাগাদ বদল খান সাহেবের কাছে ভীষ্মদেবের গান শেখা শুরু।
6/11
কাজি নজরুল ইসলাম ভীষ্মদেবের একজন গুণমুগ্ধ ছিলেন। নজরুলের ইচ্ছেতেই ১৯৩৩ সালে তিনি মেগাফোন কোম্পানির সঙ্গীত পরিচালক ও প্রশিক্ষকের পদে যোগ দেন। সেই বছরেই মেগাফোন কোম্পানি থেকে তাঁর গাওয়া দু’টি খেয়াল প্রকাশিত হয়। ১৯৩৬ সালে মেগাফোন কোম্পানির কর্ণধার জে এন ঘোষ এবং কবি অজয় ভট্টাচার্যের অনুরোধে ভীষ্মদেব বাংলা গান রেকর্ড করতে রাজি হয়েছিলেন। প্রথম গান দু'টি ছিল 'ফুলের দিন হল যে অবসান' এবং 'শেষের গানটি ছিল তোমার লাগি'। ভীষ্মদেবের গাওয়া অন্যতম কালজয়ী বাংলা গান 'যদি মনে পড়ে সে দিনের কথা'।
7/11
8/11
9/11
10/11
11/11
photos