প্রায় ৭০ বছরের সংগীতযাত্রায় আজও অম্লান উত্তরপাড়া সংগীতচক্রের ধ্রুপদী আয়োজন...
Uttarpara Sangeet Chakra: ১৯৫৭-র এই জানুয়ারি মাসেই পথচলা শুরু। আজ পর্যন্ত এক নাগাড়ে জারি সেই ধ্রুপদী পথচলা। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে যারা এখনও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে তাদের মধ্যে উজ্জ্বল উত্তরপাড়া সঙ্গীতচক্র।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সময়টা ছিল নানা দিক থেকেই অবক্ষয়ের। বা, ঠিক অবক্ষয়ের না বলে দিন বদলের দিনও বলে যেতে পারে। উনিশ শতকের শেষাংশ। রাজা-মহারাজা-নবাব-বাদশার রমরমার দিন তখন ক্রমশ শেষ হচ্ছিল। ফলে তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে পৃষ্ঠপোষণা করতেন, কমে আসছিল তা-ও। ফলে রাজসভার গায়কবাদক হিসেবে যাঁরা এতকাল তাঁদের শিল্পের চর্চা ও অগ্রগতি নিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন, তাঁদের সেই নিশ্চিন্তির দিনও শেষ হয়ে আসছিল। এরপর ঘরোয়া আসরে আর তা থেকে ক্রমে জনপরিসরে অনুষ্ঠান করে নিজেদের টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল সেই সময়ের ধ্রুপদী সংগীতকারদের। ফলে বিশ শতকের প্রথম ভাগেই ক্রমশ পাবলিক ফাংশন শুরু হচ্ছিল।
তবে কেন কলকাতাকে কেন্দ্র করে উচ্চাঙ্গ সংগীতের এত রমরমা সেই সময়টায়, কারণ রয়েছে তারও। ১৮৫৭ সালের পরে লক্ষ্ণৌ থেকে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহকে কলকাতায় নির্বাসন দেওয়া হল। নবাবের সঙ্গেই লক্ষ্ণৌয়ের মিউজিক্যাল ট্র্যাডিশন কলকাতায় সরে এল। বাংলার মাটিতে তখন নানা দিকে শুরু হল ধ্রুপদী সংগীতের চর্চা, গায়ন-বাদন, আয়োজন-আসর, মেহফিল। পরে পরে এই পরিবর্তনের শরিক অল ইন্ডিয়া রেডিয়োও। তারা সে সময়ে বহু শিল্পীর গান লাইভ বা রেকর্ড করে সম্প্রচার করত। এই ভাবেই প্রথম যাঁর গান রেকর্ড হল তিনি গওরজান।