ব্যথা ও জ্বর নিরাময়ে প্যারাসিটামলের মতো নিরাপদ ওষুধ খুব বেশি নেই বলেই এই ওষুধ আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্যারাসিটামল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য, যা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
2/8
2
বেদনানশক ওষুধ সাধারণ ভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। এক, নারকোটিক বেদনানাশক ওষুধ, যেমন-মরফিন, প্যাথিডিন ইত্যাদি। এগুলো মাদকজাতীয় এবং আসক্তি তৈরি করে। এ জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া সম্পূর্ণ অনুচিত। আর একটি ভাগ হচ্ছে, অ-মাদক বেদনানাশক, যেমন-প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন ইত্যাদি।
photos
TRENDING NOW
3/8
3
জ্বর উপশমে প্যারাসিটামল অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এটি বিক্রি হয় এবং যে কেউ কিনতে পারে। কিন্তু তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত।
4/8
4
দৈহিক বা সোমাটিক ব্যথায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ-মাদক বেদনানাশক, বিশেষ করে প্যারাসিটামলই ব্যবহৃত হয়। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর।
5/8
7
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট একটি, কখনও প্রয়োজনে দুটিও খেতে হতে পারে। ২৪ ঘণ্টায় তিন-চারবার খাওয়ার পরামর্শই দেন চিকিত্সকরা। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় চার গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না।
6/8
8
ব্যথা বা জ্বরের জন্য তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এতে উপকার না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
7/8
9
প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত গুরুতর নয়। তাই শিশুদেরও বয়স আর ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে।
8/8
10
৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া মোটেই উচিত নয়। কারণ তাতে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।