Purba Bardhaman: অসহ্য দুর্গন্ধ, যেন নরককুণ্ড! ক্রমবর্ধমান আবর্জনার পাহাড় নিয়ে কপালে ভাঁজ...
Purba Bardhaman: বর্ধমানের এগ্রিকালচারাল ফার্মের কাছেই এই গ্রাউন্ড। বহুদিন ধরেই এখানে ময়লার অবস্থান। বহুবার সরিয়ে নিয়ে যাবার দাবি উঠেছে। কিন্তু বিকল্প নেই বলে এই ব্যবস্থাই চলে আসছে। প্রায় হাফ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ময়লা আর ময়লা।
1/4
পার্থ চৌধুরী: বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া! রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে সাড়ম্বরে পাড়া জাগিয়ে শুরু হয়েছিল বর্ধমানের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডের আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগোনোর প্রজেক্ট। তারপর বাঁকা নদী দিয়ে গড়িয়ে গেছে অনেক জল। কাজ এখন পরিত্যক্ত। এদিকে গোটা এলাকা এখনও নরককুণ্ড। বিস্তীর্ণ এলাকায় জঞ্জালের পাহাড়ের আয়তন নিয়েছে। অন্যদিকে সকালের দিকে রাস্তায় উঠে আসে উটকো জঞ্জালের স্রোত। বর্ষাকালে দুর্বিষহ অবস্থা হয় আশেপাশের গ্রামে, এলাকায়। তার সঙ্গে দুর্গন্ধ উপরি পাওনা।
2/4
একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যেদিন পাশের মাটিতীর্থে আসেন, সেদিন প্যান্ডেল করে ঘিরে দেওয়া হয় এলাকাটা। যদি চোখে পড়ে যায়! এলাকার মানুষ চান এটা এখানে না থাকুক। তা যদি নাও হয়, এগুলোকে অন্য কাজে লাগিয়ে কিছুটা পরিমাণ কমানো হোক। কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, ব্যবস্থা হবে। কিন্তু কবে, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। বর্ধমানের এই ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড ভূগোলের দিক থেকে শহরের বাইরে গ্রাম লাগোয়া। বর্ধমানের এগ্রিকালচারাল ফার্মের কাছেই এই গ্রাউন্ড। বহুদিন ধরেই এখানে এর অবস্থান। বহুবার একে সরিয়ে নিয়ে যাবার দাবি উঠেছে। কিন্তু বিকল্প নেই বলে এই ব্যবস্থাই চলে আসছে। প্রায় হাফ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ময়লা আর ময়লা।
photos
TRENDING NOW
3/4
এই ময়লা যারা ফেলতে আসেন তাদের অনেক কাজ। তাই মাঝেমধ্যেই রাস্তার উপর ময়লা ফেলে আসেন। ব্যস্ত কালনা রোডে আর্বজন গড়িয়ে আসে। যানজট হয়ে যায়। এই নিয়ে বছর খানেক আগেই দিনভর পথ অবরোধ করেছেন বাসিন্দারা। গোটা এলাকা আশেপাশে রোজ দুর্গন্ধের সাথে বাস করতে হয়। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে এলে দুদিনের দৃশ্যদূষণ বন্ধ থাকে। এই সমস্যা সমাধানে এক একবার নানা পরিকল্পনা হয়েছে। এক দশক আগে এই বর্জ্য কাজে লাগিয়ে সেগুলিকে সারে পরিবর্তিত করার স্বপ্ন দেখান হয়। সাড়ম্বরে উদ্বোধন হয়। বসে মেশিনপত্র। সেসবের পাট চুকে গেছে। কয়েকটি এলাকায় গারবেজ কম্প্রেসিং মেশিন বসেছিল। সেই কনসেপ্ট নাকি এখন আর কার্যকর নয়।
4/4
আমরা কথা বলেছিলেন আধিকারিকের সঙ্গে। বর্ধমান পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের নোডাল অফিসার তাপস মাকর। তিনি জানিয়েছেন, 'সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার হয়ে গেছে, কাজ শুরু হবে। তাদের ভাবনা, রাস্তায় কোনও বর্জ্য আর পড়ে থাকবে না। বাড়ি থেকে বা দোকান থেকে আবর্জনা সরাসরি ট্রাকে তোলা হবে। এর মধ্যেই বাঁশি বাজিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ময়লা তোলার ঠেলাগাড়ি যায়। এছাড়াও রাতের বেলায় জমে হওয়া বর্জ্য তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সারা শহরের আবর্জনা নিয়ে নিবিড় ভাবনা আছে তাদের।' সাধারণ মানুষ এতশত বোঝেন না। তারা চান সমাধান হোক এই পাহাড়প্রমাণ সমস্যার।
photos