Dhankhar-Mamata: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালকে কিছুটা এড়িয়েই গেলেন মুখ্যমন্ত্রী!

Jan 26, 2022, 17:54 PM IST
1/5

বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভীতিপ্রদ। মঙ্গলবার বিধানসভা চত্বরে বি আর আম্বদকরের মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে নজিরবিহীন ভাবে নিশানা করেন রাজ্যকে। তার পর থেকে দেখার বিষয় ছিল রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কী করেন মমতা?  

2/5

প্রটোকল মেনে আজ রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। স্বাভাবিকভাবে হাত তুলে নমস্কার করেন ধনখড়। প্রতি নমস্কারও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু ওইটুকুই। মাস্কে মুখঢাকা রাজ্যপাল কিছু বলার চেষ্টা করলেও মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন ক্যামেরায় তা ধরা পড়ল না। কিছুটা মুখ ফিরিয়েই রইলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্পর্কের মধ্যেকার দূরত্ব অন্তত দু'জনের শরীরী ভাষায় খানিকটা স্পষ্ট।   

3/5

রাজ্যের একাধিক বিষয়ে বারেবারেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। কখনও ভোটপরবর্তী অশান্তি, কখনও হাওড়া পুর সংশোধনী বিল, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, এমনকি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়েও প্রশ্ন তুলে রাজ্যকে বিব্রত করেছেন ধনখড়। এর পাল্টা রাজ্যপালকে নিশানাও করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শাসকদলের নেতারা। মঙ্গলবার ফের এক কাণ্ড।  

4/5

বি আর আম্বেডকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় আসতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই মতো মঙ্গলবার সব আয়োজনও করা হয়। কিন্তু বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল যে সাংবাদিক সম্মেলনের ধাঁচে রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি তাঁকেও নিশানা করবেন তা জানা ছিল না স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার রাজ্যপালের ভাষণের সিডি চেয়ে পাঠিয়েছেন স্পিকার। তাঁর বক্তব্য, আগামিদিনে ধনখড় নিজে থেকে বিধানসভায় আসতে চাইলে, চিন্তাভাবনা করে দেখা হবে। মঙ্গলবারই রাজ্যপালের বক্তব্যকে অসৌজন্যমূলক বলেছিলেন স্পিকার। এদিন তাঁর অভিযোগ, বিধানসভার মঞ্চকে রাজ্যনৈতিক ভাষণের জন্য ব্যবহার করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নতুন করে গর্জে উঠেছে শাসকদল তৃণমূলও। জোড়াফুল শিবিরের অভিযোগ, ধনখড়ের আচরণে বোঝা মুশকিল, তিনি রাজ্যপাল নাকি বিজেপি নেতা। 

5/5

কখনও নবান্ন-রাজভবন। কখনও আবার রাজভবন-বিধানসভা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক ক্ষেত্রগুলির মধ্যে ফাটল দিনে দিনে চওড়া হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে না সংঘর্ষবিরতির সম্ভাবনাও।