এয়ার স্ট্রাইকে ধ্বংস জইশের ৪টি জঙ্গি শিবির, প্রমাণ ধরা র‍্যাডারের ছবিতে

Mar 02, 2019, 17:27 PM IST
1/9

মিথ্যাকে বেশিক্ষণ ঢেকে রাখা যায় না। মঙ্গলবার কাকভোরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জইশ-এ-মহম্মদের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের এয়ার স্ট্রাইক অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তারা দাবি করেছে, পাকিস্তানি বিমানের তাড়া খেয়ে জঙ্গলে বোমা মেরে পালিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বিমান। এমনকি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে স্থানীয়দের দিয়ে পাক সরকার বলিয়েছে, বোমায় একজন আহত হয়েছে। কোনও জঙ্গিঘাঁটি এখানে নেই।   

2/9

কিন্তু সত্য গোপন থাকে না। সরকারি সূত্রে খবর, বালাকোটে জইশের মাদ্রাসা তালিম-উল-কোরাণ মাদ্রাসার চারটি ভবনে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ভারত।  

3/9

সেনার তিন প্রধান সাংবাদিক সম্মেলন করে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। আবারও জানালেন। সরকার চাইলে, প্রমাণ প্রকাশ্যে আনতে তারা প্রস্তুত। কী প্রমাণ? সেনার দাবি, যুদ্ধ বিমানে থাকা সিন্থেটিক অ্যাপারচার র‍্যাডারে পাওয়া ছবি রয়েছে তাদের হাতে। এখন কী এই SAR পিকচার? 

4/9

সিন্থেটিক অ্যাপারচার র‍্যাডার কী?এই র‍্যাডারে মূলত 3D ছবি ওঠে। গতিশীল বস্তুতে এই র‍্যাডার ব্যবহার হয়। মিরাজ ২০০০-এ এই র‍্যাডার রয়েছে। র‍্যাডারে ওঠে মূলত এক্স রে-র মতো ছবি।  

5/9

স্যাটেলাইটের মতো স্পষ্ট ছবি এই র‍্যাডারে ওঠে না কিন্তু মেঘ বা গাছের আড়ালে থাকা বস্তু এই র‍্যাডারে ধরা পড়ে। র‍্যাডারে দেখা গিয়েছে, জইশের চারটি ভবনে পাঁচটি এস-২০০০ বোমা ফেলে বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান।    

6/9

যে বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলছে বিভিন্ন পাকিস্তানি ও আন্তর্জাতিক স্বাধীন সংবাদসংস্থা। বিভিন্ন স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বোমায় কোনও ক্ষতিই হয়নি। অথচ ভারতীয় সেনার দাবি, যে লক্ষ্য নিয়ে তারা হামলা চালিয়েছিল, তাতে তারা সফল। আর এই ধ্বংসের ছবিই ধরা পড়েছে SAR-এ। সেনার বক্তব্য, সরকার যদি চায় সে প্রমাণ তারা জনসমক্ষে আনতে প্রস্তুত। 

7/9

ভারতের দাবি, কেন এয়ার স্ট্রাইকের পর মাদ্রাসা চত্বরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি? কেন সাংবাদিকদের মাদ্রাসায় যেতে দেয়নি পাকিস্তান? মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই থাকত এই মাদ্রাসায়। এখানেই চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ। 

8/9

বায়ুসেনা এয়ার ভাইস মার্শাল আরজিকে কাপুর আগেই জানিয়েছিলেন, যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তবে কবে প্রকাশ করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। 

9/9

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি সংসদের যৌথ অধিবেশনে পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ স্বীকার করেছেন, ৪টি ভারতীয় বিমান ঢুকেছিল জাবায়। পিছনে আরও ১০টি বিমান আত্মরক্ষার ফরমেশনে ছিল। আজহারের মাদ্রাসা ধুলোয় মিশিয়ে দেয় তারা।