1/5
নিজের সন্তানকে কয়েকটি কথা বলার আগে সাবধান হবেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের সন্তানকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চান সমস্ত অভিভাবক। এ কারণে অনেক সময় বাচ্চাদের লঘু অপরাধেও গুরু দণ্ড দিয়ে থাকেন অনেক মা-বাবাই। আবার বাচ্চারা কিছু না-পারলেই রাগের মাথায় অনেক কথাই বলে বসেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিভাবকদের নিজের এই অভ্যাস পাল্টে ফেলা উচিত। কারণ এর ফলে তাদের মনের ওপর গভীর প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু কথা আছে, যা ভুলেও বাচ্চাদের বলা উচিত নয়। নিজের সন্তানকে কয়েকটি কথা বলার আগে সাবধান হবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের সন্তানকে ভুলেও বলবেন না যে ‘তুই জন্ম না-নিলেই ভালো হত’। কোনও সন্তানই নিজের অভিভাবকের কাছ থেকে এই কথা শুনতে চায় না। এমন উক্তি সন্তানের আবেগকে আহত করে। আবার তাঁদের আত্মসম্মান বোধও আঘাত পায়। এর ফলে বাচ্চা মনে করতে পারে যে, তাকে কেউ ভালোবাসে না এবং সে হীনমন্যতায় ভুগতেও পারে।
2/5
মনে রাখবেন, বড়দের মতো ছোটদের সময় জ্ঞান থাকে না
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোথাও যাওয়ার তাড়া থাকলে এবং সন্তানের কারণে দেরি হলে, তাদের বলবেন না যে, ‘তাড়াতাড়ি কর, না-হলে এখানেই ছেড়ে চলে যাব।’ বড়দের মতো বাচ্চাদের সময় জ্ঞান থাকে না। এমন কথা বললে তাদের মনে হারিয়ে যাওয়ার বা ছেড়ে দেওয়ার ভয় বাসা বাঁধতে পারে। তাই আপনাদের দেরি হলে অন্য ভাবে বাচ্চাদের সেই কথা জানান। বার বার ছোটদের ‘তোমাকে যা বলা হয়, তা তুমি কখনও কর না’ এই কথা বললে তারা মনে করতে পারে যে, তাঁরা কোনও কিছুই ভালো ভাবে করতে পারে না। এর পরিবর্তে তাদের বলুন ‘আমি চাই তুমি এই কাজ এ ভাবে কর’। আপনি যা জানেন, তাদের বোঝান। ভুল হলেও তাদের ভালোবেসে ঠিক করে কাজ করার কথা বলুন।
photos
TRENDING NOW
3/5
অন্যের সঙ্গে তুলনা কেউই পছন্দ করে না
আপনার বাচ্চার সঙ্গে অন্যের তুলনা কখনই করবেন না, অন্যের সঙ্গে তুলনা কেউই পছন্দ করে না। বাচ্চারা নিজের কাজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে। কিন্তু তাদের যদি অভিভাবকরা বার বার বলেন যে ‘তুমি নিজের ভাই-বোনের মতো হতে’, তা হলে তাদের মনে নিজের ভাই-বোনের প্রতি প্রতিশোধ স্পৃহা বাড়ে এবং তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করে। ধীরে ধীরে বাচ্চারা মনে করতে শুরু করে যে তারা কখনও নিজের ভাই-বোনের মতো হতে পারবে না। অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি বাচ্চা আলাদা এবং তাঁদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
4/5
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা কোনও ভুল পদক্ষেপও করতে পারে
আপনি যদি নিজের সন্তানকে বলেন যে, এই জিনিস কেনার টাকা নেই, তা হলে সে ভাবতে পারে যে টাকা দিয়ে সমস্ত আনন্দ কেনা যায়। এ ছাড়া সে মনে করতে পারে যে, আর্থিক অনটনের কারণে মা-বাবা কিছু কিনতে পারছে না। তাই বাচ্চাদের কোনও কিছুর জন্য বারণ করতে হলে যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখান। বাচ্চা কথা না-শুনলে অনেক সময় মা-বাবা তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এই কথাগুলি বাচ্চাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে ও কষ্ট দিয়ে থাকে। এমনও হতে পারে যে, বাচ্চারা আপনাকে কিছু না-জানিয়েই প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে গেল। বার বার বাচ্চাদের এই কথা বলতে থাকলে তা তাদের মনে গেঁথে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কথা মনে করে তারা কোনও ভুল পদক্ষেপও করতে পারে।
5/5
ছোটদেরকে শেখার সময় দিন
বাচ্চারা কোনও কাজ সঠিক ভাবে না-করলে অনেক সময় বলে দিই যে, তোমার মতো বয়সে আমি এই কাজ করে ফেলেছিলাম। এটি বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানে। তাঁরা ভাবতে শুরু করে যে, তাঁরা কিছু করতে জানে না। মনে করুন, ছোটবেলায় আপনারাও অনেক ভুল করেছেন। শত অভ্যাসের পর আজ ঠিক করে কিছু করতে পারছেন। তাই বাচ্চাদের শেখার সময়টুকু দিন।
photos