'তারিখ পে তারিখ' নয়, নির্ভয়াকাণ্ডে ফয়সলা অন দ্য স্পট পারবেন ইনিই, দাবি সোশ্যালে

Feb 01, 2020, 11:44 AM IST
1/5

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১২ সালে ডিসেম্বরে শীতের রাতে দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার হন মেয়ে। তখন থেকে শুরু হয়েছে মেয়ে হারানো মায়ের লড়াই। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন আশাদেবী। ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসিতে ঝোলানো হত ৪ ধর্ষককে। আরও একবার বিচারের ফাঁক গলে ফাঁসি স্থগিত করে দিল তারা। আদালতকক্ষেই আশাদেবীতে ধর্ষকদের আইনজীবী এপি সিং শ্লেষমিশ্রিত চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন, কোনওদিনই ফাঁসি হবে না। কথাটা শ্লেষ হয়ে বিঁধেছে আশাদেবী। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সন্তানহারা মা। বিচার কি পাবেন না? টুইটারে সরব হয়েছে নেটিজেনরাও। অনেকেই বলছেন, বিচারের রাস্তা একটাই। তিনি হলেন, সাইবরাবাদের পুলিস কমিশনার ভিসি সজ্জানর। 

2/5

২৭ ডিসেম্বর তেলেঙ্গানায় তরুণী পশুচিকিত্সককে খুন করে পুড়িয়ে দিয়েছিল ৪ ধর্ষক। তদন্তে নেমে মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্নাকুন্ত চেন্নাকেশভুলুকে গ্রেফতার করে পুলিস। ৪ জনেরই মৃত্যু হয় এনকাউন্টারে। তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  অধিকাংশই সমর্থন করেছিলেন পুলিসের। যদিও বা প্রশ্নও ওঠে। সেই সময় উঠে আসে সাইবরাবাদের পুলিস কমিশনার এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট ভিসি সজ্জানরের নাম। 'সিংঘম' পুলিস অফিসারের তারিফ করেন নেটিজেনরা। 

3/5

এনকাউন্টারের পর সাইবরাবাদের পুলিস সুপার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের। সেখানে তারা পালানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিসের উপরে পাথর ও লাঠি নিয়ে হামলাও করে। অস্ত্র ছিনিয়ে গুলিও চালায়। আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল পুলিস। তারা কর্ণপাত না করায় আত্মরক্ষায় পুলিস কর্মীরা গুলি চালান।

4/5

নির্ভয়ার ৪ অপরাধীদের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল ১ ফেব্রুয়ারি। ৭ বছর ধরে চলছে মামলা। দ্বিতীয়বার ফাঁসি পিছিয়ে যাওয়ার পর উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে উঠেছেন, সজ্জানর। ২০০৮ সালে অ্যাসিড হামলা হোক বা ২০১৯ সালে গণধর্ষণকাণ্ড- অভিযুক্তদের অন দ্য স্পট ফয়সলা করেছেন তিনি। সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা। তাঁরা বলছেন, সজ্জানরের বন্দুকই অপরাধীদের জন্য সঠিক দাওয়াই।    

5/5

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এক অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুরের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন ফিরিয়ে দিলেও, নতুন করে এদিন নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে আরেক অভিযুক্ত পবন গুপ্তা। ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল। এই দাবিতে এদিন ফের সুপ্রিম কোর্টের কাছে নতুন করে দ্বারস্থ হয় পবন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এক ইস্যুতে বার বার আবেদন করা যাবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। এরপরই নতুন করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে আরেক আসামী বিনয় শর্মা। যে আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন ফাঁসির আদেশ স্থগিত হয়ে গেল পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে। নিয়ম অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই আবেদন খারিজ করে দিলেও, ফাঁসির আগে ১৪ দিন সময় পায় আসামী।