এক সাধারণ চাষি একাই ফ্রান্সের থেকে কেড়ে নিলেন জমি!

| May 06, 2021, 19:54 PM IST
1/6

কোনও রক্তপাত নেই, লড়াই-ঝগড়া নেই, উত্তেজনা নেই। অথচ নীরবে ফ্রান্সের জমি চলে গেল বেলজিয়ামের হাতে। নিয়ে নিলেন সামান্য এক চাষি! 

2/6

একজন সাধারণ চাষির জন্য আড়াই মিটার জায়গা হারাল ফ্রান্স। সীমান্তে জমির অংশ বাড়ল বেলজিয়ামের। সীমানা নিয়ে বিশ্বে কত দেশের মধ্যে কত যুদ্ধ বেঁধেছে! সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করছে কত দেশ! এখানে সেসব কিছুই ঘটল না। কেন ঘটল না তার কারণ আছে।  

3/6

ইউরোপের কিছু কিছু দেশের সীমান্তে কাঁটাতার নেই। সেখানে বহু জায়গায় দুটি দেশের সীমান্ত ভাগ করেছে পাথরের ফলক। ফ্রান্স-বেলজিয়ামের মধ্যেও এমন এক পাথরের ফলক ছিল। যা দুই দেশের সীমান্ত বলে নির্ধারিত। বেলজিয়ামের এক চাষি ওই পাথরের ফলকটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তুলে অন্যত্র বসিয়ে দেন। এর ফলে প্রায় আড়াই মিটার জায়গা হারাল ফ্রান্স। উল্টোদিকে বেড়ে গেল বেলজিয়ামের সীমান্ত এলাকা।  

4/6

ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মধ্যে সীমানা ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। ১৮২০ সালে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নির্ণয়ের জন্য ওই পাথর পুঁতে রাখা হয়েছিল। বেলজিয়ামের ওই চাষি পাথরটির গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের সীমান্ত বরাবর চাষজমি ছিল তাঁর। চাষবাস করেই জীবন কাটত। জমিতে একটা পাথর পড়ে থাকায় ওই চাষির ট্রাক্টর চালাতে খুব অসুবিধা হত। তাই একদিন বিরক্ত হয়ে পাথরটিকে তুলে কিছুটা দূরে বসিয়ে দেন তিনি। এভাবে সীমান্তফলকের সরে যাওয়াটা নজরই করেনি দুই দেশ।  

5/6

শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নজরে পড়ল এক ইতিহাসবিদের। ইতিহাসবিদ ওই এলাকার রাস্তা ধরে হাঁটার সময় খেয়াল করেন,  সীমানা চিহ্নিত করার পাথরটি যেন সঠিক জায়গায় নেই। এর পরই ইতিহাসবিদ ফ্রান্স ও বেলজিয়াম সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

6/6

ইতিহাসবিদ ওই ভুল ধরার পরও ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। বেলজিয়ামের সীমান্তবর্তী এরকুইলিনস গ্রামের মেয়র (Mayor of Erquelinnes) ডেভিড লাভক্স এই নিয়ে মজা করেছেন। Lavaux বলেছেন, আমরা ওই চাষিকে খুঁজে বের করব।  এবং বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটাব।