মুঙ্গেরের অধিকাংশ অবৈধ অস্ত্র কারখানাই এখন চলে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে: সূত্র

Apr 21, 2019, 22:42 PM IST
1/10

বিক্রম দাস: মুঙ্গের থেকে অস্ত্র কারখানাগুলি চলে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ।    

2/10

লালবাজারের এসটিএফ জানতে পেরেছে, ২০১৮ সাল থেকে মুঙ্গেরের অধিকাংশ বেআইনি অস্ত্র কারখানাই চলে এসেছে বাংলায়। রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর, বারাকপুর, বীরভূম, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে গজিয়ে উঠেছে কারখানা। 

3/10

  অস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। তারপর সেগুলি রফতানি হয় মুঙ্গেরে। এসটিএফ সূত্রে খবর, যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য বড় মেশিন দরকার পড়ে। সে কারণে যন্ত্রাংশ তৈরি এখানেই হচ্ছে। 

4/10

এখান থেকে অস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির পর তা রফতানি হচ্ছে মুঙ্গেরে। মুঙ্গেরে যন্ত্রাংশগুলি অ্যাসেম্বেল বা জুড়ে তৈরি হচ্ছে অস্ত্র।     

5/10

মুঙ্গের থেকে পূর্ণাঙ্গ অস্ত্র ফের চলে আসে বাংলায়। সেখান থেকে চলে যায় সীমান্ত এলাকায়। তার ৭৫ শতাংশই চলে যায় বাংলাদেশে। (টিকিয়াপাড়ায় খোঁজ মেলা অস্ত্র কারখানার ছবি)

6/10

ভারতের অস্ত্রের চাহিদা বেশি বাংলাদেশে। ফলে মুনাফাও বেশি। এখানে কোনও অস্ত্রের দাম ৫০০০ টাকা হলে বাংলাদেশ মেলে ২৫০০০ টাকায়। অর্থাত্ ৫০০ শতাংশ মুনাফা।

7/10

কিন্তু কেন অস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা বাংলায় চলে এল? গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছেন, মুঙ্গেরে অস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির খরচ অনেকটাই বেশি। বাংলায় সস্তায় বিদ্যুত ও শ্রমিক পাওয়া যায়। তা ছাড়া বাজারও রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল।  

8/10

মুঙ্গেরে কারখানা চালানোর খরচ ইদানীং আরও বেড়ে গিয়েছে। তাছাড়া বাংলায় বেআইনি অস্ত্রের চাহিদাও বেশ ভাল। সহজে বাংলাদেশেও পাচার করা যায়।

9/10

তবে শুধু বাংলাতেই নয়, ছত্তীসগঢ় ও মধ্যপ্রদেশেও কয়েকটি অস্ত্র কারখানা সরে গিয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তবে বাংলায় যে শুধু যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে এমনটা নয়। রাজারহাটেই পূর্ণাঙ্গ অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছিল। 

10/10

হাওয়ালার মাধ্যমে টাকার লেনদেন চলে। তবে লোকসভা ভোটের জন্য গত ৬ মাস ধরে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারে রাশ টানা হয়েছে। কারণ এখানে চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।