Kargil Vijay Diwas, Op Safed Sagar: কার্গিল যুদ্ধে পাকসেনাকে নাস্তানাবুদ করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনার কোন 'নায়ক'রা?
1/5
অপ সফেদ সাগরের ২৩ পূর্তি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'অপ সফেদ সাগর'-এর ২৩ বছর। ১৯৯৯-এর ২৬ জুলাই। কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনা একবারে সুনির্দিষ্ট আক্রমণে শত্রুদের আঘাত হানে। গুঁড়িয়ে দেয়, উড়িয়ে দেয় ঘাঁটি। সূচিত হয় ভারতের জয়। সেই থেকে ২৬ জুলাই দিনটি 'কার্গিল বিজয় দিবস' হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। কার্গিল যুদ্ধজয়ের নেপথ্যে ছিসেন ভারতীয় বায়ুসেনার কোন 'নায়ক'রা? চলুন দেখে নেওয়া যাক একনজরে-
2/5
মিগ-২৯
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি মিগ-২৯। রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি ১৯৭০ সালের এই যুদ্ধবিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৫ ও এফ-১৬-র সমদক্ষ। কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারত মিগ-২৯ এর ব্যবহার করে। পাকিস্তানের হাতে সেইসময় পর্যাপ্ত এফ-১৬ ছিল না। ফলে ভারতে মিগ-২৯ এর সাথে এঁটে উঠতে পারবে না বুঝতে পেরেই পাক বায়ুসেনা আর সীমান্ত অতিক্রম করেনি। যারফলে সুবিধা পেয়ে যায় ভারতীয় স্থলসেনা।
photos
TRENDING NOW
3/5
মিগ-২১
4/5
মিগ-২৭ (বাহাদুর)
কার্গিল যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় এই মিগ-২৭। কার্গিল যুদ্ধে বীরত্বের জন্য এর নাম হয় 'বাহাদুর'। প্রতি ঘণ্টায় ১৭০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম এই মিগ-২৭। বায়ু থেকে ভূমিতে নিশানায় আঘাত করতে অত্যন্ত পারদর্শী মিগ-২৭ শত্রুপক্ষ টের পাওয়ার আগেই তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দিত। ৪ হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। স্থলভাগের কাছাকাছি উচ্চতায় উড়লে কোনও রেডারে সহজে ধরাও পড়ে না। কার্গিলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থানরত পাক সেনাদের উপর ভারতীয় বায়ুসেনা মিগ-২৭ বিমান থেকে অবিরাম গোলাবৃষ্টি করে।
5/5
মিরাজ-২০০০
ফরাসি যুদ্ধবিমান মিরাজে রয়েছে মারাত্মক শক্তিশালী রাডার। যার ফলে লক্ষ্যবস্তুকে সহজেই নিশানা করতে পারে। মিরাজ ২০০০ রাতেও হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে। মিরাজের চালকের হেলমেটের মধ্যেই থাকে ডিসপ্লে। যারফলে সুপার ইম্পোজড রাডার ডেটা দেখতে পান তিনি। পাকিস্তানের হাতে থাকা মার্কিন এফ-১৬ কে টেক্কা দিতেই কার্গিল যুদ্ধে মিরাজ-২০০০ ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। মিরাজ সফলভাবে কার্গিলে শত্রুশিবির ও তাদের রসদ ক্যাম্পে হানা দেয়। কয়েকদিনের মধ্যেই শত্রুদের সরবরাহ ব্যবস্থাটিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হয়।
photos