মোদী থাকা ও না-থাকার ফারাক, মাত্র ৬ মাসেই কমল বিজেপির ভোট, দেখে নিন পরিসংখ্যান

Oct 24, 2019, 20:09 PM IST
1/6

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির মুখ তিনিই। তিনিই ক্রাউডপুলার। তাঁকে দেখতেই ভিড় জমান মানুষ। হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ভোটের ফলপ্রকাশের পর সেটা আরও প্রকট হয়ে উঠল। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে ভোটের ফারাকই বুঝিয়ে দিচ্ছে, মোদীকে দেখেই লোকসভায় ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। 

2/6

লোকসভা ভোটে বিজেপির মুখ, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নামেই ভোট চেয়েছিল গেরুয়া। বস্তুত নির্বাচন পর্যবসিত হয়েছিল মোদী বনাম বিরোধী। ভোটাররা বেছে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীকেই।

3/6

মহারাষ্ট্রে মোদী নয়, নিজের নামেই ভোট চেয়েছিলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। প্রচার চলেছিল, 'ম্যাঁয় ভি দেবেন্দ্র।' কিন্তু দেবেন্দ্র ও নরেন্দ্রর মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক বুঝিয়ে দিয়েছে জনতা জনার্দন। মহারাষ্ট্রে গতবারের চেয়েও কম আসন পেয়েছে বিজেপি। যদিও এবার সমঝোতার কারণে অনেক কম আসনে লড়েছে গেরুয়া শিবির। 

4/6

তবে মহারাষ্ট্রে ভোট শতাংশ দেখলে বোঝা যাবে আসল ছবিটা। লোকসভায় মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২৩টি। ভোটের হার ২৭.৮৪ শতাংশ। তার ৬ মাস পর বিধানসভায় ভোটের হার ২৫.৬৭। ভোটের হার পড়েছে প্রায় ২ শতাংশ।  

5/6

হরিয়ানায় লোকসভা ভোটে ১০টি আসনের মধ্যে ১০টিই পেয়েছিল বিজেপি। মোদী ঝড়ে বিজেপির ভোটের হার পৌঁছে গিয়েছিল ৫৮.০২ শতাংশে। সেই জাঠভূমে ৬ মাসের ব্যবধানেই বিজেপির ভোট নেমে গেল প্রায় ২২%। হরিয়ানায় বিজেপি পেয়েছে ৩৬.৪৫ শতাংশ ভোট। ৬ মাসে ২২ শতাংশ? 

6/6

রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদীর প্রবল বিরোধীরাও স্বীকার করে নেন, তাঁর জনপ্রিয়তার সমকক্ষ কেউ নেই। একার দমে তিনি খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটে মোদী মুখ ছিলেন না। আরও একটা বড় কারণ রয়েছে, লোকসভা ভোটে মোদীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো বিশ্বাসযোগ্য বিরোধীমুখ ছিল না। বিরোধীদের ছন্নছাড়া দশা ও সুযোগসন্ধানী সমঝোতায় ভরসা রাখতে পারেননি ভোটাররা। সে কারণে মোদীকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বিধানসভায় মানুষের কাছে বিকল্প ছিল।