Happy Birthday JK Rowling: জাদুভরা মায়াময় এক পৃথিবীর স্রষ্টা রাউলিং

| Jul 31, 2021, 19:51 PM IST
1/10

আইফোন নয়, বই কেনার জন্য আগের রাত থেকে দোকানে লাইন পাঠকের? গাঁজাখুরি গল্প নয়, এমনই ঘটেছে। ঘটিয়েছেন জে কে রাউলিং। হ্যারি পটার নামক চরিত্রের স্রষ্টা রাউলিংয়ের লেখা হ্যারি পটার সিরিজের বই কেনার জন্য বই প্রকাশিত হওয়ার আগের রাত থেকেই মানুষ বইয়ের দোকানের সামনে লাইন দিতেন!

2/10

আজ ইতিহাস সৃষ্টি করা সেই লেখকের জন্মদিন। JK Rowling এমন এক জগত্‍ রচনা করেছেন যা আমাদের চার পাশের জগতের চেয়েও বেশি জটিল, অনেক বেশি প্রতীকায়িত। লেখকের জন্মদিনে সারাবিশ্বের পাঠকমহল নীরবে তাঁকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানান সম্ভবত এই বলে যে, আমাদের শিশু-কিশোরদের মনে তিনি দারুণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। এমন প্রভাব যা তাদের আবার বইমুখী করেছে। 

3/10

শুধু বইমুখীই নয়। হ্যারি পটার সিরিজের ফিল্মগুলিও তারা গিলে খেয়েছে। সিনেমাগুলি রিলিজের আগেও ঘুম উড়ে যেত বাচ্চাদের। 

4/10

এ কথা ঠিক যে, একেবারে বইয়ের কাহিনির মতো হুবহু ছবি করা সম্ভব নয়। হয়ওনি। কিন্তু Harry Potter films কাহিনিকে অনুসরণ করেও যেন কাহিনির চেয়ে আরও বেশি কিছু দিতে চেয়েছে। ফলে এই নতুনত্বটুকুও  বাচ্চারা উপভোগ করেছে। 

5/10

১৯৬৫ সালের ৩১ জুলাই ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারের ইয়েটে শহরে জন্মগ্রহণ করেন জে.কে. রাউলিং। তাঁর বাবা ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, মা ছিলেন গবেষণাগারের টেকনিশিয়ান। রাউলিং এর পুরো নাম জোয়ান ক্যাথলিন রাউলিং। রাউলিংয়ের ছোটবেলাটা কাটে গ্রাম্য পরিবেশে।

6/10

বোনকে নিয়ে রাউলিংয়ের একাই কাটত ছোটবেলায়। বাবা-মা তাদের দুই বোনকে মজার মজার সব গল্পের বই কিনে দিতেন। তখন  থেকেই নিজেও মজার গল্প লিখতেন ছোট্ট রাউলিং। এভাবেই তার মনে নামকরা লেখক হওয়ার স্বপ্ন বাসা বাঁধে। শুধু লেখক হওয়ার স্বপ্নই নয়, তিনি ভাবতেন, তাঁর লেখা বই দোকানে আসা মাত্র পাঠকরা তা লুফে নিবে। বাস্তবিক সেটাই ঘটেছে।

7/10

কী করে ঘটল, সে-ও এক গল্প। ১৯৯০ সাল নাগাদ একদিন তিনি মেট্রো রেলে চড়ে ম্যানচেস্টার থেকে লন্ডনে যাচ্ছিলেন । ট্রেনে প্রচন্ড ভিড়। এই ট্রেনেই দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা অতিবাহিত করতে হয়েছিল জে.কে. রাউলিংকে। সেই অবস্থাতেই তিনি চিন্তা করছিলেন তাঁর লেখা নিয়ে। 

8/10

হঠাৎই তাঁর স্বপ্নের জানালায় এসে দাঁড়াল এক অনাথ ছেলে। ছেলেটি পালিত হচ্ছে তার পিসির কাছে। খুবই কষ্টে, অনাদরে অবহেলায়  ছেলেটি মানুষ হচ্ছে। এত দুর্গতির মধ্যেও সে জানে না, তার মধ্যে রয়েছে এক মায়াবী জাদুকরী ক্ষমতা। উলিং ছেলেটির মুখাবয়বও কল্পনা করেন। মোটা ফ্রেমের চশমা পরিচিত কালো চুলের ছেলেটি। ব্যস! এখান থেকেই গল্প ধরে নেন রাউলিং। 

9/10

ছেলেটির নাম দিলেন তিনি হ্যারি। অবশেষে তাকে নিয়ে শুরু করেন লেখা। ১৯৯৫ সালে শেষ করেন হ্যারি পটার সিরিজের ১ম গল্প। 

10/10

২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সাতটি বইয়ের প্রথম ছয়টি বই সারা পৃথিবীতে ৩২৫ মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রি হয়। বইগুলি ৬৪টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয় বিশ্বজুড়ে।