হোলি খেললে ঈশ্বর ক্রুদ্ধ হন এখানে, এলাকায় নেমে আসে অভিশাপ! জেনে নিন কোথায়...

Holi Rituals in Uttarakhand: দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেখানে হোলির রঙ ম্লান হয় না, আবার এই উত্তরাখণ্ডেই এমন অনেক গ্রাম রয়েছে যেখানে হোলির রং এখনও অশুভ বলে মনে করা হয়!

| Mar 08, 2023, 15:28 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হোলি আজ শুধু দেশেই নয় বিদেশেও ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে। সবাই রঙে মগ্ন। আর উত্তরাখণ্ডের হোলি তো বিখ্যাত। কুমায়ুন হোক বা গাড়োয়াল-- হোলি এখানে ধুমধাম করে পালিত হয়। কিন্তু এহেন দেবভূমি উত্তরাখণ্ডেও এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেখানে হোলি খেলা হয় না। যে গ্রামগুলিতে হোলির রং এখনও অশুভ বলে মনে করা হয়!

1/6

রেগে যান ভগবান?

এই পার্বত্য রাজ্যে এমন শতাধিক গ্রাম রয়েছে, যেখানে হোলির রং বাতাসে ওড়ে না। পিথোরাগড় জেলার এই গ্রামে আজও হোলির রং অশুভ বলে মনে করা হয়। গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন, হোলি উদযাপন করলে ভগবান ক্রুদ্ধ হবেন। কেন এমন হয়?  

2/6

হোলি আনে অভিশাপ?

অনেকে বিশ্বাস করেন, এই এলাকায় যাঁরা হোলি খেলার চেষ্টা করেন, তাঁদের কোনও না কোনও বিপর্যয় ঘটে। কোনও পরিবারে হয়তো আচমকা মৃত্যু ঘটে, কোনও পরিবারের উপর বড় কোনও অভিশাপ নেমে আসে। কোথাও আবার পশুচুরি বা ওই রকম কোনও অশুভ ঘটনা ঘটে। এসবের কারণে স্থানীয় গ্রামবাসীরা রং খেলাকে এখানে দেবতাদের অসন্তুষ্টির সঙ্গে যুক্ত করেছেন। 

3/6

নিত্যদিনের মতোই কাজে ব্যস্ত সকলে

সুদূর অতীতে কোনও না কোনও সময় হয়তো এরকম ঘটেছে। যা থেকে এরকম একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। আজও, উত্তরাখণ্ডের বহু গ্রামে তাই হোলি পালিত হয় না। উৎসবের দিনেও মানুষ সাধারণ দিনের মতোই নিত্যদিনের কাজে ব্যস্ত থাকে।

4/6

গুপ্ত কৈলাসে ভাসবে না রং

ধারচুলার বরম গ্রামের এক বাসিন্দা নরেন্দ্র সিং বলেন, এই গ্রামের সমস্ত বাসিন্দা শিপলা কেদারদেবের পূজা করে, যিনি ভগবান শিব এবং ভগবতীর রূপ। এই পাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা মন্দির প্রদক্ষিণ করেন এবং কেদার কুণ্ডে ডুব দেন। এই মন্দির গুপ্ত কৈলাস নামেও পরিচিত।

5/6

রঙ অপবিত্র করবে তাঁদের মাটিকে?

কোনও এলাকায় বসবাসকারীরা বিশ্বাস করেন, রঙ তাঁদের মাটিকে অপবিত্র করে তুলবে। ধারচুলার আনোয়াল সম্প্রদায় এবং মুন্সিয়ারির জোহর এলাকার বারপাটিয়া গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায় এখনও হোলি সম্পর্কে ঐতিহ্যগত বিশ্বাসই পোষণ করে।  

6/6

বাতাসে উড়ত ফাগ

ইতিহাসবিদেরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেছেন। এক ইতিহাসবিদ ব্যাখ্যা করেছেন, হোলি আসলে কোনও দিনই পার্বত্য রাজ্যের নিজস্ব উৎসব ছিল না। পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলি হোলিতে বিশ্বাস করে না। তবে ঘটনাচক্রে বাইরের মানুষ এসে পাহাড়ে বসবাস শুরু করার পরে এই ভাবনার সাময়িক কিছু পরিবর্তন কোথাও কোথাও ঘটেছিল। মানুষে মানুষে বৃহৎ পরিসরে যোগাযোগের কারণে অন্যদের প্রথা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে হয় স্থানীয়দের। কিন্তু এখনও বেশ কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে, যেমন বারপাটিয়া এবং আনোয়াল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এখনও হোলিকে অপবিত্র মনে করেন!