'সহজ, স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়শৈলী ছিল তাঁর, যা আন্তর্জাতিক স্তরে আলাদা পরিচিতি গড়ে দেয়'

Nov 15, 2020, 17:26 PM IST
1/9

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইন্দ্রপতনে শোকস্তব্ধ চলচ্চিত্র জগৎ। সৌমিত্রের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছেন পরিচালক অতনু ঘোষ। তাঁর কথায়, 'অনেকেই বলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় যেন জীবনকে চিনিয়ে দেয়। আসলে বৈশিষ্ট্যের বলে একজন অভিনেতা অসামান্য হয়ে ওঠেন'।  

2/9

'প্রখর বোধবুদ্ধি, একাগ্রতা, ছবির ওপর দখল, সেসব প্রভূত পরিমাণে ছিল তাঁর মধ্যে। তাঁর আরও একটা বিশেষত্ব ছিল, যেটা তাঁর কাজে আরও গভীরতা এনে দিয়েছে ও পরিণত করেছে, এটা ওঁর অসাধারণ জীবন দর্শন। কেরিয়ারের যদি একটা একটা করে ছবি বেছে নিই তাহলে হয়তো ওঁর কেরিয়ারের কিছুটা ধারা বোঝা যাবে। 

3/9

পঞ্চাশের দশকের শেষে তাঁর প্রথম ছবি অপুর সংসার। এত সহজ, এত স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়শৈলী ছিল তাঁর, যে ধরনটা আন্তর্জাতিক স্তরে আলাদা পরিচিতি গড়ে নেয়। অথচ সেটি ছিল তাঁর প্রথম ছবি।

4/9

এরপর 'চারুলতা', যে ছবিটি করার পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজের হাতের লেখাটাই বদলে ফেলেছিলেন। বেশ কঠিন কিছু অনুশীলন করতে হয়েছিল শুটিংয়ের আগে। তা সত্ত্বেও তাঁর অভিনয় ছিল প্রাণবন্ত। 

5/9

এরপর যদি 'অশনিসংকেতে'র গঙ্গাচরণ নিয়ে আলোচনা করি, তাহলে বলতে হয় বেশ জোরাল একটা চ্যালেঞ্জ। সময়ের একটা তুমুল ঘাত-প্রতিঘাত, টানাপড়েন। অন্য দিকে এই চরিত্রের মধ্যে রয়েছে নানা স্তর, অন্তর্দ্বন্দ্ব। এই ছবিতে গ্রামবাংলার ভাবভঙ্গি চলাফেরা যা চেনা ছকের বাইরে।  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বহু সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁর অভিনয়ের ধারা বহুবার বাঁক নিয়েছে। 

6/9

আশির দশকে 'ক্ষিদ্দা', যেখানে একজন রাগী ও দয়ালু মনের চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। যেখানে আবেগের সঙ্গে বলেন, 'ফাইট, কোনি ফাইট'।  

7/9

৯০ দশকে 'হুইল চেয়ার'। সেখানেও জটিল চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। আউটার ও ইনার কনফ্লিক্টের তুমুল বৈপরীত্য, তার মধ্য়ে নিজের চরিত্রে একদম স্থির থেকে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা। নিজস্ব জীবন দর্শন দিয়ে চরিত্রটাকে না দেখলে কখনই অভিনয় করা সম্ভব না। 

8/9

২০০০ থেকে ২০১০ গৌতম ঘোষের পরিচালিত 'দেখা' ছবিটিও অন্যরকম। যেখানে নানা মানসিক স্তর খুবই ধূসর।   

9/9

২০১০ থেকে ২০২০ এর মধ্যে 'ময়ূরাক্ষী' ছবিতে আবার চমকে দেন সকলকে। একদিকে একজন মানুষের শিক্ষা মেধা মনন একেবারে কানায় কানায় অন্য দিকে সেই মানুষটা তাঁর স্মৃতি হারিয়ে ফেলছে।