করোনা যেন পিছু ছাড়ছে না চিনের। সেই উহান থেকে শুরু হয়েছে। এবার চিনা আইসক্রিমে মিলল করোনা ভাইরাস। বেজিং-সংলগ্ন তিয়ানজিনের এক সংস্থা এই আইসক্রিম তৈরি করেছিল। যেসব আইসক্রিমে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে চিনা প্রশাসন।
2/8
করোনা-কবলিত ওই আইসক্রিমের ২৯০০০টি কার্টন এখনও সংস্থার হেফাজতেই আছে। বিক্রির জন্য সেগুলি ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে পাঠানোর কথা ছিল। এখন আর পাঠানো হবে না বলে জানা গিয়েছে। তিয়ানজিনে ৩৯০টি আইসক্রিম বিক্রি হয়েছে।
photos
TRENDING NOW
3/8
তিয়ানজিন মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় করোনা-সংক্রমিত ওই আইসক্রিম যাঁরা কিনেছেন বা খেয়েছেন বলে জানতে পারা গিয়েছে সেই সব ক্রেতাদের আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা ভাবা হয়েছে।
4/8
আইসক্রিমে করোনা সংক্রমণের খবর আসার পরে ওই সংস্থার ১৬০০ কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁদের মধ্যে ৭০০ জনের করোনা রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্টের রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছে সংস্থা।
5/8
সংস্থার কারখানা অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ওই সংস্থার তৈরি আইসক্রিমের তিনটি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তিনটিতেই রয়েছে করোনা ভাইরাস।
6/8
উহানে যখন করোনা ধরা পড়েছিল, তখন চিন দাবি করেছিল, বাইরে থেকে এসেছে এই ভাইরাস। আমদানি করা মাছ বা অন্য খাদ্যের মাধ্যমে করোনা আসে সে দেশে। এবারে আইসক্রিমে করোনা ধরা পড়ার পরেও চিনা সংস্থার গলায় সুর একই।
7/8
সংস্থাটি জানিয়েছে, একাধিক দেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে আইসক্রিম তৈরি করে তারা। নিউজিল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয় মিল্ক পাউডার। অন্য আর একটি কাঁচামাল আনা হয় ইউক্রেন থেকে। এর থেকেই আইসক্রিমে করোনা ভাইরাস এসে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
8/8
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এতে চিন্তার কারণ নেই। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে এই ভাইরাস হয়তো ঢুকে পড়েছে আইসক্রিমে। এর আগেও খাবারে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। প্যাকেটজাত দ্রব্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।