'বেনু'বন থেকে মুক্তো নিয়েই ফিরছে OSIRIS-REX

| May 29, 2021, 15:44 PM IST
1/7

বিদায় 'বেনু'। দু'বছরের সফরশেষে ঘরে ফিরছে নাসার স্পেসক্র্যাফ্ট। গ্রহাণু বেনু থেকে কী নিয়ে ফিরছে ওই স্পেসক্র্যাফ্ট, তা জানার জন্য আর তর সইছে না মহাকাশবিজ্ঞানীদের।

2/7

OSIRIS-REX নামে নাসার এই spacecraft এখনও প্রায় ১৪০ মিলিয়ন মাইল দূরে। বেনুর মাটি থেকে সে সাত মিনিটের একটি স্বল্পমেয়াদি 'পুশ' নিয়েই ছুটে আসছে ঘরের দিকে, মানে, পৃথিবীর দিকে।  OSIRIS-REX বেনু'তে নেমে খোঁড়াখুঁড়ি করেছিল। তার ছবিও তুলেছিল। ২০২১-এর ৭ এপ্রিল শেষ বারের মতো সেই খননস্থলের ছবি সে তুলেছিল। এবার সে ফিরছে।

3/7

আজ থেকে ৪৫০ কোটি বছর আগে বড় কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এই গ্রহাণুগুলি তৈরি হয়েছিল। গ্রহের মতো গ্রহাণুও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তবে আকারে সেগুলি অনেক ছোট। বড়সড় পাথরের খণ্ডের মতো। বেনুও তেমনই এক কার্বন সমৃদ্ধ গ্রহাণু। অন্ধকার। সূর্যের আলোর ৩০ শতাংশ প্রতিফলিত হয় পৃথিবী থেকে আর বেনু থেকে হয় মাত্র ৪ শতাংশ। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, এটিকে দেখা বেশ শক্ত কাজ।

4/7

পৃথিবী থেকে ১৮০ মিলিয়ন মাইল দূরের অন্ধকার এই গ্রহাণুর খোঁজ মিলেছিল ১৯৯৯ সালে। এই বেনু আকারে Empire State Building-এর মতো লম্বা। 

5/7

বেনুকে ভাল করে জানার জন্য ওসিরিস-রেক্স পাঠিয়েছিল নাসা। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সেটি বেনুতে খোঁড়াখুঁড়ি চালায়। সংগ্রহ করে এক কেজি পাথর-ধুলোর নমুনা। যা সে পৃথিবীতে নিয়ে আসছে। মহাকাশচর্চার ইতিহাসে এটি একটি মাইলফলক বলা চলে।

6/7

 NASA Goddard Space Flight Center-এর তরফে এই মিশনের বিজ্ঞানী Jason Dworkin জানিয়েছেন, বেনু থেকে তাঁদের পাঠানো স্পেসক্র্যাফ্টের এই ফিরে আসা একদম ঠিকঠাক রয়েছে। এই মিশনের সঙ্গে জড়িত আর এক বিজ্ঞানী জানিয়েছে, এইরকম একটি মিশনে যদি গ্রহাণু থেকে নতুন নতুন ছবি পাওয়া যেতে থাকেতবে এর চেয়ে উত্তেজক আর কী হতে পারে!

7/7

কিন্তু বেনু সম্বন্ধে হাতে-গরম তথ্য পেতে গেলে অন্তত দু'টি বছর বিজ্ঞানীদের অপেক্ষা করতেই হবে। এখনও ১৪০ মিলিয়ন মাইল দূরে সে। ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তার ফেরার দিন। তবে OSIRIS-REX 'ল্যান্ড' করবে না। Great Salt Lake Desert-এর Utah Test and Training Range-য়ে সে একটি ৩২ ইঞ্চি ক্যাপসুল ফেলে  দেবে। সেখানেই থাকবে বেনুর যাবতীয় তথ্য।