তমলুকের ভট্টাচার্য পরিবারের পুজো

তমলুকের ভট্টাচার্য পরিবারের পুজো প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো। জেলার অন্যতম সেরা বনেদিবাড়ির পুজো এটি। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ব্যবত্তারহাটের ভট্টাচার্যবাড়িতে ধুমধাম আর নিষ্ঠার সঙ্গে হয় এই দুর্গাপুজো।

Updated By: Oct 7, 2013, 03:34 PM IST

তমলুকের ভট্টাচার্য পরিবারের পুজো প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো। জেলার অন্যতম সেরা বনেদিবাড়ির পুজো এটি। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ব্যবত্তারহাটের ভট্টাচার্যবাড়িতে ধুমধাম আর নিষ্ঠার সঙ্গে হয় এই দুর্গাপুজো।
পুজোর রীতি- বাড়ির দুর্গাদালানে আয়োজন করা হয় দেবী আরাধনা। সাবেকরীতি মেনে বৈষ্ণবমতে দুর্গাপুজো করা হয়। মেনে চলা হয় পুজোর ঐতিহ্যময় নানা নিয়মকানুন।
বৈশিষ্ট্য- জন্মাষ্টমীর পর দিন নন্দোত্‍সব উপলক্ষে স্থানীয় ছাতিমতলা থেকে মাটি আনা হয় ঠাকুর গড়ার জন্য। নন্দকুমারের গুমাই গ্রামের মৃত্‍-শিল্পী প্রতিমা গড়েন দুর্গা দালানে। সেই দালানেই দুর্গা আরাধনা করা হয় মহাষ্টমীর দিন। ওই দিন বিল্ব অধিবাস হয়। পুজো করেন এলাকার চক্রবর্তী পরিবার। আগে পুজোর সময় নহবত্‍ বসত। বিজয়া দশমীতে বাড়ির সব সদস্য মিলে বাঁশের মাচায় প্রতিমা নিয়ে, ব্যবত্তারহাটের সংলগ্ন দুর্গামণির পুকুরে ভাসান দেওয়া হয়।
ভোগ বিশেষত্ব
ষষ্ঠীর দিন পুজোর নৈবেদ্য ও ভোগ রান্না হয় আধ মণ চালের। সপ্তমীর দিন ৩০ কেজি, অষ্টমী ও সন্ধি পুজোর সময় ১ মণ ৮ কেজি, নবমীতে ১ মণ ও ৯ কেজি ও দশমীর দিন সাড়ে ১২ কেজি চালের নৈবেদ্য ও ভোগ হয়।
প্রতি দিন পুজোয় চিড়ে, দই, মুড়কি, নাড়ু ও মিষ্টি দেওয়া হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন হয় অন্নকূট। ভোগের প্রসাদ বিতরণ করা হয় পুজো দেখতে আসা ভক্তদের মধ্যে।

.