কেরলের বন্যাত্রাণে আমিরশাহির ৭০০ কোটি, মুখ্যমন্ত্রীকে খবর দিয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী

ত্রিচুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ইউসুফের ব্যবসায় আমিরশাহিতে। ফোবর্সের তালিকায় তাঁর স্থান বর্তমানে ৩৮৮ নম্বরে

Updated By: Aug 26, 2018, 10:26 AM IST
কেরলের বন্যাত্রাণে আমিরশাহির ৭০০ কোটি, মুখ্যমন্ত্রীকে খবর দিয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলে বন্যাদুর্গতদের সং‌যুক্ত আরব আমিরশাহির ৭০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার খবর নিয়ে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। ওই টাকা নিয়ে অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। এনিয়ে কেরলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চরমে। খোদ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ট্যুইট করে ওই ৭০০ কোটি টাকা ত্রাণের খবর দিয়ে বেকায়দায় পড়ে ‌যান। তবে আমিরশাহি সরকার জানিয়ে দেয় তারা কোনও অঙ্কের কথা জানায়নি।

কিন্তু প্রশ্ন হল পিনারাই বিজয়ন কোথায় পেলেন ওই তথ্য। এনিয়ে চাপ বাড়তে থাকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর ওপরে। চাপে পড়ে বিজয়ন জানিয়ে দেন, তাঁর খবরের উৎস আমিরশাহি প্রবাসী কেরলের এক ব্যবসায়ী। নাম ইউসুফ আলি। তাঁর খবরের ওপরে ভিত্তি করেই ৭০০ কোটি টাকা ত্রাণের কথা বলে দেন তিনি।

আরও পড়ুন-টান মারতেই ছিঁড়ে বেরিয়ে এল ভ্রূণের মাথা-হাত-পা, মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার

কে এই ইউসুফ আলি? ত্রিচুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ইউসুফের ব্যবসায় আমিরশাহিতে। ফোবর্সের তালিকায় তাঁর স্থান বর্তমানে ৩৮৮ নম্বরে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩.৮ বিলিয়ন ডলার। ইউসুফের ফেসবুক পেজে তাঁর ছবি রয়েছে দুনিয়ার একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবিশেষের সঙ্গে। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল কালাম এমনকি বারাক ওবামা প‌র্যন্ত।

ইউসুফের জন্ম কেরলের ত্রিচুরে। বিজনেস ম্যানেজেমেন্টে ডিপ্লোমা করে ইউসুফ চলে ‌যান আবু ধাবিতে কাকার ব্যবসায় ‌যোগ দিতে। ইউসুফের কাকা এম কে আবদুল্লা আমিরশাহিতে তৈরি করেছিলেন লুলু গ্রুপ। ধীরে সেই ব্যবসা বিশাল আকার ধারন করে। ইউসুফ তৈরি করে ফলেন লুলু হাইপার মার্কেট। আবুধাবির রিটেল বিজনেসে বিপ্লব এনে দেয় হাইপার মার্কেট। মধ্যপ্রাচ্যে এখন ১০০টি মার্কেট রয়েছে লুলু-র। বর্তমানে কোচিতেও একটি মল খুলেছে তারা।

আরও পড়ুন-পকেটে ফাটল নামী কম্পানির মোবাইল, ঝলসে গেল হাত-পা

২০১৫ সালে ব্যবসার মুখ ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেন। লন্ডনের গ্যালিয়ার্ড হোম-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে একটি ফাইভস্টার হোটেল খোলেন লন্ডনে। কেরলে বন্যাদুর্গতদের জন্য নিজেই প্রায় দশ কোটি টাকা দান করেছেন। পাশাপাশি খালিফা বিন জায়েদ নায়েন ফাউন্ডেশেনের মাধ্যমে ৫০ লাখ ডলার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

.