বিজেপির সঙ্কট বাড়িয়ে দল ছাড়ছেন ইয়েদুরাপ্পা
ছাড়বেন, ছাড়বেন করছিলেন। কিন্তু এবার দল ছাড়ার তারিখটাও ঘোষণা করে দলের শীর্ষ নেতাকে বার্তা দিয়ে রাখলেন দক্ষিণ ভারতে লিঙ্গায়েত নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। যে ইয়েদুরাপ্পার হাত ধরে দক্ষিণ ভারতে ক্ষমতায় বসার সূত্রপাত, সেই ইয়েড্ডি দল ছেড়ে দিচ্ছেন। দলের সভাপতি নিতিন গড়কড়িকে নিয়ে যখন বিজেপির মাথাব্যথা এখন চরমে। তখনই দক্ষিণেও কু-ডাক দিয়ে ইযেদুরাপ্পা বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রসের মত বিজেপিকেও এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইটাও লড়তে হবে।
ছাড়বেন, ছাড়বেন করছিলেন। কিন্তু এবার দল ছাড়ার তারিখটাও ঘোষণা করে দলের শীর্ষ নেতাকে বার্তা দিয়ে রাখলেন দক্ষিণ ভারতে লিঙ্গায়েত নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। যে ইয়েদুরাপ্পার হাত ধরে দক্ষিণ ভারতে ক্ষমতায় বসার সূত্রপাত, সেই ইয়েড্ডি দল ছেড়ে দিচ্ছেন। দলের সভাপতি নিতিন গড়কড়িকে নিয়ে যখন বিজেপির মাথাব্যথা এখন চরমে। তখনই দক্ষিণেও কু-ডাক দিয়ে ইযেদুরাপ্পা বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রসের মত বিজেপিকেও এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইটাও লড়তে হবে। কংগ্রেসের মাথাব্যথা যদি দুনীর্তি, এফডিআই আর লাগামহীন শরিকরা হয়ে থাকে। তাহলে বিজেপির সংকটের কারণ নিজেদের দলের নেতারাই।
মঙ্গলবার বিএস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ``বিজেপি-তে থাকার কোনও প্রশ্নই নেই। দশ ডিসেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি ছাড়বেন। এরপরই তিনি নিজের দল গড়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু করবেন।`` দল ছাড়ার কারণটা অবশ্য সবারই জানা। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ হারিয়েছিলেন, এবার সেই পদে আবার ফিরে যেতে চান। কিন্তু তাঁর জায়গায় যাকে বসানো হয়েছে তিনিই বা সরবেন কেন! তাই গোঁসা দেখাতে দেশে বাড়তে চলেছে আরও একটি রাজনৈতিক দল। মুখে ইয়েড্ডি বলেছেন, তাঁকে অন্যায়ভাবে পদ থেকে সরানো হয়েছে তাই উপযুক্ত প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন। সে কারণেই দল ছাড়াছেন। সঙ্গে বলে দিয়েছেন, যদি তাঁর ডাক শুনে কেউ আসতে চায় তাহলে ভাল, না হলে তিনিই একাই দল চালাবেন। কারণ তিনি জনগণের জন্য দল করবেন। ইয়েদুরাপ্পার এ হেন হুঁশিয়ারির পর নড়চড়ে বসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপি শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, ইয়েড্ডিকে আর দলে ধরে রাখা যাবে না। তাই এখন থেকেই ওঁনার বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করা হোক। তবে যেহেতু ইয়েড্ডি দলকে ডিসেম্বর অবধি সময় দিয়েছেন তাই দলের আশাবাদি মহলের একটা অংশ মনে করছে এর মধ্যে একটা কিছু ফর্মুলা আদবানি, জেটলিরা বের করে ফেলবেন। কারণ এর আগেও একবার ইয়েড্ডি দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েও পিছিয়ে আসেন। অবশ্য এতেও প্রশ্নচিহ্ন থাকছে। কারণ সভাপতি গড়কড়ি দলকে এমন সমস্যায় ফেলেছেন যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসাই মুশকিল।