বিশ্ব-অর্থনীতিতে বড় আকারের মন্দার আশঙ্কা! এরই মধ্যে ভারত নিয়ে দারুণ সুখবর কী শোনাল বিশ্বব্যাংক?
India's Economic Growth: বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে পূর্বাভাস ছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ হতে পারে। এর আগে এ সংক্রান্ত যে পূর্বাভাস করা হয়েছিল সেখানে অঙ্কটা অবশ্য একটু বেশিই ছিল!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব জুড়ে মন্দার আবহ। বড় বড় কর্পোরেটগুলি দৃষ্টান্তমূলক ছাঁটাই সারছে। তা নিয়ে বহু বিতর্ক, বহু ক্ষোভ। কিন্তু কোনও কিছুই শুনতে চাইছে না তারা। এমনকী তাদের কেউ কেউ আগাম মন্দার কথা বলছে। যেমন, জেফ বেজোস মন্দার কথা শুনিয়ে রেখেছেন।
কেন মন্দা?
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব তো আছেই। সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চিন-তাইওয়ান সংঘাতের আবহ। এসবের জেরে ঘটছে মূল্যবৃদ্ধি।
আরও পড়ুন: Ludo Bet: লুডোয় বাজি ধরেন নিজেকেই! স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবিতে গোটা ঘটনায় নয়া মোড়
ভারত নিয়ে কী আশার কথা শোনাল বিশ্বব্যাংক?
আরও পড়ুন: Namra Qadir: শরীরী আবেদনে বুঁদ ব্যবসায়ী, ধর্ষণে ফাঁসানোর হুমকিতে ৮০ লক্ষ ব্ল্যাকমেইল 'বিষ'-কন্যার!
হ্যাঁ, ভারতের জন্য আশার কথাই শুনিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারা বলছে, এই পরিস্থিতিতেও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিতে ‘ইতিবাচক সম্ভাবনা’ রয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে ‘ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’। এখানে পূর্বাভাস করা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশ হতে পারে। অক্টোবরে প্রকাশিত রিপোর্টে যা ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। যদিও তার আগের রিপোর্টে সংখ্যাটা আরও বেশি ছিল। জুনে গ্লোবাল ইকনমিক প্রসপেক্টস সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল বিশ্বব্যাংক, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ দাঁড়াতে পারে বলে বলা হয়েছিল। অক্টোবরের পূর্বাভাসে তা ১ শতাংশ কমে গেলেও এ বার আবার ০.৪ শতাংশ বেড়েছে!
প্রসঙ্গত, প্রায় চার বছর আগে ভারতকে সুখবর শুনিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধিতে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। বিশ্বব্যাংকের এক অর্থনীতিবিদ বলেছেন-- দশ বছর আগের তুলনায় ভারত এখন অনেক শক্তিশালী। গত এক দশকের বিভিন্ন আর্থিক পদক্ষেপ ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রথম সারিতে নিয়ে এসেছে!
যদিও মূল্যবৃদ্ধি ঘিরে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস দুশ্চিন্তা কমাচ্ছে না। বলা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৭.১ শতাংশে পৌঁছতে পারে।