ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট

সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে ধর্মীয় বাড়বাড়ন্ত ও হস্তক্ষেপে চিন্তিত সুপ্রিম কোর্ট। ভারত আর কতদিন নিজের ধর্মনিরপেক্ষ সত্বা বজায় রাখতে পারবে সোমবার সেই বিষয়েই সংশয় প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। তবে, সারাদেশে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের হয়েও সওয়াল করেছে অ্যাপেক্স কোর্ট।

Updated By: Feb 10, 2015, 05:11 PM IST
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট

নয়া দিল্লি: সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে ধর্মীয় বাড়বাড়ন্ত ও হস্তক্ষেপে চিন্তিত সুপ্রিম কোর্ট। ভারত আর কতদিন নিজের ধর্মনিরপেক্ষ সত্বা বজায় রাখতে পারবে সোমবার সেই বিষয়েই সংশয় প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। তবে, সারাদেশে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের হয়েও সওয়াল করেছে অ্যাপেক্স কোর্ট।

পার্সোনাল ল-এর ভিত্তিতে ক্রিশ্চান কোর্ট স্বীকৃতি দাবি করে একটি পিআইএল দায়ের করেছিল। আজ সেই পিআইএল-এর শুনানিতে বিচারপতি বিক্রমকিৎ সেন বলেছেন ''ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। কিন্তু আমি সত্যিই জানি না আর কতদিন এ দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে।''

বিচারপতি সেনের মতে বিবাহবিচ্ছেদ, বিয়ে বা দত্তক নেওয়ার মত বিষয়গুলিতে কোনও ধর্মভিত্তিক আইন থাকা অনঅভিপ্রেত।

একই বেঞ্চের বিচারপতি সি নাগাপাপ্পান বলেছেন ''নাগরিক সামাজিক অধিকারের ক্ষেত্রগুলি থেকে ধর্মকে সরিয়ে রাখতে হবে।''

যদিও শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই পিটিশনের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। 'ক্যানন ল' বা ভারতীয় ক্রিশ্চানদের ব্যক্তিগত আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে শেষ কথা বলবে যাজকের নির্দেশ। এই 'ক্যানন ল'-এরই আইনি স্বীকৃতি দাবি করা হয়েছে।

ক্ল্যারেন্স পাইস, কর্ণাটকের ক্যাথলিক অ্যাসোসিয়েশনের দক্ষিণ শাখার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এই পিআইএলটি দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ক্রিশ্চান কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের পর যদি কেউ আবার বিয়ে করেন সেক্ষেত্রে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বহু সময় বাইগামির অভিযোগ দায়ের করা হয়। কারণ এদেশে ক্রিশ্চান কোর্টে হওয়া বিবাহ বিচ্ছেদের কোনও আইনি স্বীকৃতি নেই।

তাঁর অভিযোগ যদি শরিয়তি আইনের ভিত্তিতে মুখে তিনবার তালাক বললেই এদেশে বিবাহ বিচ্ছেদকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া যায় তাহলে 'ক্যানন ল'-কেও একই মর্যাদা দেওয়া উচিৎ।

 

.