অভিনন্দনের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট, চোট মেরুদণ্ডের নীচের অংশেও

সেনা হাসপাতালে আগামী ১০ দিন তাঁর বিভিন্ন ধরনের চিকিত্সা ও পরীক্ষা হবে বলে সূত্রের খবর

Updated By: Mar 4, 2019, 08:33 AM IST
অভিনন্দনের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট, চোট মেরুদণ্ডের নীচের অংশেও

নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবারই পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরেছেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তার পর থেকেই তিনি রয়েছেন দিল্লির সেনা হাসপাতালে। সেখানে তাঁর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-মিনিটে ছুটবে ৬০০ গুলি, সেনার হাতে আসছে উন্নত একে-২০৩ রাইফেল

সরকারি সূত্রে সংবাদসংস্থার খবর, অভিনন্দনের দেহের এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অভিনন্দনের মেরুদণ্ডের নীচের অংশে চোট রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তবে তাঁর শরীরে কোনও ‘বাগ’-এর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই ধরনের ‘বাগ’ বা আড়ি পাতার যন্ত্র পাক সেনা অভিনন্দনের দেহ ঢুকিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন চিকিত্সকরা।

পাক ফাইটার জেটের গুলিতে অভিনন্দনের মিগ ২১ বাইসনে আগুন লেগে যায়। তখনই তিনি আপাতকালীন ‘ইজেক্ট’ করে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এই ধরেনর ইজেক্ট-এর ফলে মেরুদণ্ডে আঘাত লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ইজেক্ট করার পর পাক মাটিতে নেমে পড়েন অভিনন্দন। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরে জনতা। শুরু হয় মারধর। এখনও অভিনন্দনের ডান চোখের নীচে তার দাগ রয়েছে। ওই মারধরের ফলেই পাঁজরে আঘাত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-বায়ুসেনার বিমানহানায় তছনছ বালাকোটের জইশ ক্যাম্প, প্রমাণ মিলল উপগ্রহ চিত্রে

সেনা হাসপাতালে আগামী ১০ দিন তাঁর বিভিন্ন ধরনের চিকিত্সা ও পরীক্ষা হবে বলে সূত্রের খবর। পাক হেফাজতে থাকাকালীন অভিনন্দনের ওপরে টানা ৬০ ঘণ্টা মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে খবর। এতে তাঁর ওপর প্রবল চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তানি সেনা তাঁকে কী ধরনের জেরা করেছে তাও অনুপুঙ্খভাবে জানার চেষ্টা করবেন বায়ুসেনা গোয়েন্দারা। ফলে আগামী কয়েকদিন তাঁকে হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে।

.