পিসি-ভাইপো-বাবা হাত মেলালেও উত্তরপ্রদেশে ৭৪টি আসন পাবে বিজেপি: শাহ
উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপার সঙ্গে জোট করে মোদীকে ঠেকাতেই চাইছেন রাহুল গান্ধী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা-কংগ্রেস সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। তার আগে মহাজোটকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অমিত শাহ। তাঁর কটাক্ষ,''পিসি-ভাইপো-বাবা জোট করলেও অন্তত ৭৪টি আসন জিতবেই বিজেপি। কোনও ফারাক হবে না। লোকসভা ভোটের পর আরও শক্তিশালী হবে বিজেপি''।
উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপার সঙ্গে জোট করে মোদীকে ঠেকাতেই চাইছেন রাহুল গান্ধী। এই তিনদলের জোটের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। এখন খালি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হওয়ার বাকি। কংগ্রেসের শীর্ষস্তর সূত্রে খবর, জোট নিয়ে কথা প্রায় পাকা। আর এই জোট প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, জোটে সম্মানজনক আসন পেতে চলেছে দল।
সপা-কংগ্রেস-জোট হলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পাঁচটির বেশি আসন পাবেন না বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। এদিন সেই দাবির পাল্টা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির হুঙ্কার, ''বুয়া-ভতিজা ও বাবা হাত মেলালেও কম করে ৭৪টি আসন জিতবে বিজেপি। সমঝোতার ফলে কোনও ফারাকই পড়বে না। লোকসভার পর আরও শক্তিশালী হবে দল''।
নাগরিকপঞ্জি নিয়েও কংগ্রেসকে অবস্থান করার কথা বলেছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ''গত ৪দিন ধরে রাহুল গান্ধীর মতামত জানতে চাইছি। কিন্তু নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মুখ লুকোচ্ছেন তিনি''। একইসঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ''একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে এদেশে রাখব না। সবাইকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যারা এর বিরোধিতা করছে তাদেরও একই পথ দেখাবে দেশের জনতা'।
রাজ্যসভায় তপশিলী উপজাতি কমিশনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে একটি বিল বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হয়েছে। তবে রাজ্যসভায় ইউপিএ সরকারের সহযোগিতা দরকার। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ''বিলটি সমর্থন না করলে কংগ্রেসের মুখোশ খুলে যাবে''।
২০১৪ সালে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্যে বিজেপির আশাতীত ফলই তাদের ২৮২ আসনে পৌঁছেছিল। সে বার সপা ও বসপা আলাদা লড়াই করেছিল। সপা কোনওক্রমে পাঁচটি আসন পেলেও খাতা খুলতে পারেনি মায়াবতীর দল। ফলে উত্তরপ্রদেশেই নজর দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুর, ফুলপুর ও কৈরানার মতো আসনে উপনির্বাচনে বিরোধী জোটের সামনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাতেই উজ্জীবিত বিরোধী শিবির। ফলে মোদীকে ঠেকাতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধী ঐক্যেই ভরসা রাখছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
বিহারে আরজেডির সঙ্গে জোটও পাকা। সে রাজ্যে রয়েছে ৪০টি আসন। মহরাষ্ট্রেও এনসিপি কংগ্রেসের জোটসঙ্গী। দেবেন্দ্রফড়ণবীসের রাজ্যে ৪৮টি লোকসভা আসন। এই ৮৮টি আসনেও বিজেপিকে রুখে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে খবর, তিনটি বড় রাজ্যের ১৬৮টি আসনের সিংহভাগ তাদের ঝুলিতে এলে বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।
আরও পড়ুন- অসম থেকে ফিরছি পর্ব ২: 'জোয়ানদের তুলে নিয়ে গেল পুলিস,' আশঙ্কার প্রহর নেলির রোজনামচায়