ক্ষতিপূরণের মোটা টাকা হাতাতে করমণ্ডলের দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর মিথ্যে গল্প ফাঁদে স্ত্রী! তারপর...
স্ত্রী গীতাঞ্জলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিজয়। কারণ, তাঁর মিথ্যে মৃত্যুর গল্প ফেঁদে গীতাঞ্জলি জনসাধারণের টাকা হাতাতে চেয়েছিল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: করমণ্ডলের ভয়াবহ দুর্ঘটনার ছবি এখনও সবার মনে টাটকা। দগদগে ক্ষত সারিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতেই সামনে এল এক তাজ্জব করা ঘটনা। করমণ্ডলের দুর্ঘটনার সুযোগ নিয়ে স্বামীর ভুয়ো মৃত্যুর গল্প ফেঁদে ওড়িশা সরকারের ত্রাণের টাকা হাতাতে চেয়েছিল স্ত্রী! কিন্তু শেষপর্যন্ত আর শেষরক্ষা হয়নি। ফাঁস হয়ে যায় তাঁর ছক। আর সে ছক ফাঁস হতেই স্বামী পালটা মামলা ঠুকে দিয়েছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তের স্ত্রীর নাম গীতাঞ্জলি দত্ত। কটক জেলার মানিয়াবান্দার বাসিন্দা গীতাঞ্জলি দাবি করেন যে, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর স্বামী। স্বামীর নাম বিজয় দত্ত। এমনকি স্বামী বিজয় দত্ত বলে একটি দেহ শনাক্তও করেন তিনি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল একটাই। ট্রেন দুর্ঘটনায় রাজ্য ও রেলের তরফে ঘোষণা করা ক্ষতিপূরণ আদায় করা। কিন্তু তাঁর নথিপত্র যাচাইয়ের সময়ই ধরা পড়ে আসল সত্যি। যদিও গীতাঞ্জলি দত্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। তাঁকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু গীতাঞ্জলির জন্য সমস্যা হয়ে যায়, যখন তাঁর স্বামী বিজয় দত্ত মানিয়াবান্দা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিসের গ্রেফতারির ভয়ে এখন ওই মহিলাকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ১৩ বছর ধরে ওই দম্পতি আলাদা থাকেন। স্ত্রী গীতাঞ্জলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিজয়। কারণ, তাঁর মিথ্যে মৃত্যুর গল্প ফেঁদে গীতাঞ্জলি জনসাধারণের টাকা হাতাতে চেয়েছিল।
প্রসঙ্গত. ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন্ন পট্টনায়েক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২ লাখের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। এর সঙ্গেই রেল ঘোষণা করেছে ১০ লাখের ক্ষতিপূরণ। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৮৮ জন। আহত ১২০০-রও বেশি। উল্লেখ্য, যারা দেহ নিয়ে মিথ্যে দাবি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেল ও ওড়িশা পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যসচিব পি কে জেনা।