হাথরস কাণ্ড : ''৫০ হাজার টাকা চাই'', দাবি যে ক্ষেতে দুষ্কর্ম হয় সেটির মালিকের

সোম সিং নামে সেই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি জয়পুরে একটি ছোটখাটো চাকরি করতেন। কিন্তু লকডাউনেরর জন্য গ্রামে ফিরে আসেন। তাঁর চাকরি আর নেই। ফলে গ্রামের জমিতে চাষ করে দিন গুজরান করছিলেন।

Updated By: Oct 19, 2020, 01:09 PM IST
হাথরস কাণ্ড : ''৫০ হাজার টাকা চাই'', দাবি যে ক্ষেতে দুষ্কর্ম হয় সেটির মালিকের

নিজস্ব প্রতিবেদন- যে বাজরার ক্ষেতে নির্যাতিতার সঙ্গে দুষ্কর্ম করেছিল চার যুবক, সেটির মালিক এবার যোগী সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। ওই বাজরা ক্ষেতের মালিক সোম সিং জানিয়েছেন, সময়মতো ফসল কাটতে না পারায় তার কম করে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী সেই ব্যক্তি যোগী সরকারের কাছে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। তাঁর দাবি, ক্ষেতে ফসল কাটার সময় পুলিস তাঁকে আটকে ছিল। বলা হয়েছিল, ফসল কেটে দিলে সব প্রমাণ লোপাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এমনকী তাঁকে জমিতে জল পর্যন্ত দিতে দেয়নি পুলিস। ফলে তাঁর ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। 

সোম সিং নামে সেই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি জয়পুরে একটি ছোটখাটো চাকরি করতেন। কিন্তু লকডাউনেরর জন্য গ্রামে ফিরে আসেন। তাঁর চাকরি আর নেই। ফলে গ্রামের জমিতে চাষ করে দিন গুজরান করছিলেন। ঘটনার পর সেই জমিতে একদিন তাঁর মা জল দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস তাঁকে আটকায়। তাঁর জমি ঘেরাও করে রেখেছিল বিরাট পুলিসবাহিনী। সোম সিং বলছিলেন, ''এখন আমাকে সিবিআইয়ের অফিসাররা বলছেন ফসল কেটে নিতে! কিন্তু এখন তো গোটা ক্ষেতের ফসল সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে সময় ফসলে জল দিতে হত, সেই সময় পুলিস ওই জমি ঘিরে রেখেছিল। কাউকে আশেপাশে যেতে দিচ্ছিল না। আমার ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকারের কাছে আবেদন করেছি যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়! চাষবাস আর পশু পালন করেই আমাদের দিন কাটে।''

আরও পড়ুন-  কাশ্মীরে ব্যাপক আকারে জঙ্গি ঢোকানোর ষড়যন্ত্র করছে পাকসেনা, প্রস্তুত ভারত

এই ক্ষেতের মালিক সোম সং সিংয়ের ভাই বিক্রম ওরফে ছোট্টু ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। যদিও সেই ছোটকে চিনতে পারেনি নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। ছোটুর একটি ছবি নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের দেখিয়েছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কিন্তু ছোটুকে কেউ চিনতে পারেননি। ইতিমধ্যে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে বলে জানিয়েছে সরকার। প্রথম দফায় চার লাখ ও দ্বিতীয় দফায় ছলাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাব তাঁদের কাছে পৌঁছেছে। এমনকী পরিবারের একজন সদস্য চাকরি পাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছে যোগীর সরকার।

.