Congress-র সঙ্গে জোটই বাংলায় শূন্য প্রাপ্তির কারণ, কারাটপন্থীদের নিশানায় আলিমুদ্দিন
এই নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে প্রশ্নের মুখ পড়ল আলিমুদ্দিন (Alimuddin)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিপিএমের 'শূন্য' প্রাপ্তিতে আলিমুদ্দিনকেই পক্ষান্তরে কাঠগড়ায় তুলল কারাট শিবির। শুক্রবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কেরল, তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুললেন, কেন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা হল? জোট-সিদ্ধান্তে কার্যত কোণঠাসা হল বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্ব।
কেরলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিধানসভা ভোটে 'কুস্তি' করেছিল বামশক্তি। রীতি ভেঙে উপুর্যপরি দু'বার ক্ষমতায় এসেছে তারা। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের 'দোস্তি' করেছিলেন বঙ্গ নেতারা। এই নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে প্রশ্নের মুখ পড়ল আলিমুদ্দিন। পার্টি কংগ্রেসে লাইনচ্যুত হওয়ার অভিযোগে বিদ্ধ হলেন নেতারা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার কারণে পশ্চিমবঙ্গে বামেরা একটাও আসন পায়নি বলে তাঁদের অভিমত।
রামচন্দ্র ডোম, রবীন দেব, আভাস রায়চৌধুরীরা পাল্টা সওয়াল করেন,'২০১৮ পার্টি কংগ্রেসে বলা হয়েছিল, বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে এক করে লড়াই করতে হবে। তাই কংগ্রেসকে নেওয়া হয়।' তা খারিজ করে দেন অন্য রাজ্যের প্রতিনিধিরা। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, আপনারা অতিরিক্ত উদ্যোগ নিয়েছেন, তা ফলাফলে স্পষ্ট হয়েছে। কারাটপন্থীদের মতে, বৃহত্তর বাম ঐক্য ও বাম শক্তিকে একত্র রাখার ভাবনাতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত ছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সব দোষ কি বাংলার নেতাদের? ব্রিগেডে তো এক মঞ্চে ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি ও অধীর চৌধুরী। ওই মঞ্চ থেকে 'সংযুক্ত মোর্চা'র ঘোষণা করেছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক।
৬ থেকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। ফলে আলিমুদ্দিনের নেতাদের উপর দিয়ে আরও ঝড়-ঝাপটা বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
আরও পড়ুন- BJP-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলকে সঙ্গে নিতে হবে, স্পষ্ট করে দিলেন Surjya Kanta