জ্বালানি তলানিতে, ভুল সংকেত দিয়ে লখনউতে জরুরি অবতরণ দিল্লিগামী বিমানের!
এই ঘটনায় অসামরিক বিমান পরিষেবা নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ (DGCA) ওই বিমান চালককে সাসপেন্ড করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুম্বই থেকে দিল্লির জন্য রওনা দেয় ভিস্তারা (Vistara) বিমান ইউকে ৯৪৪ (UK 944)। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই পর্যাপ্ত জ্বালানির অভাবে লখনউতে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন বিমানচালক। একেই খারাপ আবহাওয়া, তার উপর বিমানের জ্বালানি তখন তলানিতে তাই জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন বিমানচালক। কিন্তু অবতরণের আগে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে (এটিসি) ভুল রেডিও বার্তা দেওয়ার জন্য সাসপেন্ড হতে হল বিমানচালককে।
সোমবারের এই ঘটনা সম্পর্কে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নির্ধারিত সময় মুম্বই থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় ভিস্তারা বিমান ইউকে ৯৪৪। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে, দৃশ্যমানতার অভাবে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দেয় এটিসি। ফলে বাধ্য হয়েই ফের মুম্বইয়ে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন ওই বিমানের চালক। কিন্তু বাধ সাধে বিমানের অপর্যাপ্ত জ্বালানি। ইতিমধ্যেই লখনউ এটিসি-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় যে, সেখানকার আবহাওয়া এবং দৃশ্যমানতা দিল্লির তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভাল। তাই সেখানেই জরুরি অবতরণের বার্তা দেন ইউকে ৯৪৪-এর বিমানচালক। এর পরই ১৫৩ জন যাত্রী নিয়ে লখনউতে জরুরি অবতরণ করে ভিস্তারা বিমান ইউকে ৯৪৪।
আরও পড়ুন: ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টে ডাহা ফেল! ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট
সোমবারের ওই ঘটনায় রেডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘ফুয়েল মেডে’। এর অর্থ হল, বিমানে জ্বালানি শেষ। আর এই বার্তার জেরেই সাসপেন্ড হতে হল বিমান চালককে। বলে রাখা ভাল, জাহাজে বা বিমানে ‘মেডে’ শব্দটির ব্যবহার করার অর্থ, সেটি প্রাণঘাতী, অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। প্রাণহানীকর জরুরী অবস্থা বোঝাতেই এই শব্দটির ব্যবহার করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ভিস্তারা বিমান ইউকে ৯৪৪-এর চালক জানান, যখন বিমানটি লখনউ বিমানবন্দরে নামে তখন আর মাত্র ১০ মিনিট ওড়ার মতো জ্বালানি অবশিষ্ট ছিল। এই ঘটনায় অসামরিক বিমান পরিষেবা নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ (DGCA) ওই বিমান চালককে সাসপেন্ড করেছে।