এবার সোনার দরে কিনতে হবে সবজি!

বাজারে খুচরো নেই। ভাবছেন প্লাস্টিক মানি বাঁচাবে? বাঁচবেন না। শিগগিরই সবজি কিনতে হবে সোনার দরে। মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেলেও ফুরোতে চলেছে সবজির যোগান। নগদের অভাবে চাষি তো চাষই করতে পারছেন না।

Updated By: Nov 24, 2016, 07:33 PM IST
এবার সোনার দরে কিনতে হবে সবজি!

ওয়েব ডেস্ক : বাজারে খুচরো নেই। ভাবছেন প্লাস্টিক মানি বাঁচাবে? বাঁচবেন না। শিগগিরই সবজি কিনতে হবে সোনার দরে। মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেলেও ফুরোতে চলেছে সবজির যোগান। নগদের অভাবে চাষি তো চাষই করতে পারছেন না।

শীতের সকালে তাজা সবজি। মন ভাল করা দৃশ্য। কিন্তু, ফসল ফলাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের মন ভাল আছে কি? না। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। গ্রামের নাম আটঘড়া। এখানকার চাষিরা বাজারের মুখ চেয়ে থাকেন না। ফসল বিক্রি করেন বহু ব্র্যান্ডের পাইকারি বিপণীতে। তিনদিনের মধ্যে হাতে চেক। কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার। মাল্টি ব্র্যান্ড বিপণীর হিসেবে গরমিল নেই। কিন্তু, টাকা আসছে কি চাষির হাতে? প্রতিদিন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু, সে টাকা তোলার উপায় নেই। সপ্তাহে টাকা তোলার সীমা বেঁধে দিয়েছে RBI। তার ওপর, প্রত্যন্ত এলাকার ব্যাঙ্কে কখনও মেলে দু'হাজার, কখনও ৪ হাজার টাকা। তাও বড় নোটে। অথচ, রোজই টাকার যোগান চাই। কারণ ফসল দুবিঘা জমির ফসল তুলতে কমপক্ষে পনেরোজন মজুর লাগে। প্রতি মজুদের পারিশ্রমিক আড়াইশো টাকা। কে দেবে অত খুচরো? কে দেবে অত টাকা?

জমিতে আগুন লেগেছে। জলের যোগান নেই। চাষির ঘরে যদি পোড়ে, আমাদের অট্টালিকা বাঁচবে কি? দুদিন পরে আমাদের হেঁসেলে শীতের সবজি পৌছবে তো?

.