''মৃত সঞ্জিবনী'' খুঁজছে উত্তরাখণ্ড সরকার!
রামায়ণে লক্ষণের প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলেন হনুমান। সৌজন্যে সঞ্জিবনী বৃক্ষ। তবে, সেই ঘটনার বিবরণ সামনে আসার পর তা নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। এমনকী, পৃথিবীর বুকে গাছটির উপস্থিতি নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এবার সেই প্রশ্নগুলির সমাধামন খুঁজতে উদ্যোগী হল উত্তরাখণ্ড সরকার। এর জন্য তারা ২৫ কোটি টাকা খরচ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক : রামায়ণে লক্ষণের প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলেন হনুমান। সৌজন্যে সঞ্জিবনী বৃক্ষ। তবে, সেই ঘটনার বিবরণ সামনে আসার পর তা নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। এমনকী, পৃথিবীর বুকে গাছটির উপস্থিতি নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এবার সেই প্রশ্নগুলির সমাধামন খুঁজতে উদ্যোগী হল উত্তরাখণ্ড সরকার। এর জন্য তারা ২৫ কোটি টাকা খরচ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুরান মতে, মেঘনাদের আক্রমণে লক্ষণ যখন মরনাপন্ন, সেই সময় রামচন্দ্র, হনুমানকে এই সঞ্জিবনী বৃক্ষ থেকে পাতা নিয়ে আসার জন্য পাঠান। কিন্তু হিমালয়ে গিয়ে সেই গাছ চিনতে পারেনি হনুমান। অবশেষে আস্ত গন্ধমাদন পর্বতটিই মাথায় করে নিয়ে গিয়ে হাজির হয় সে। সঠিক গাছ থেকে পাতা ছিড়ে তা দিয়ে চিকিত্সা করে প্রাণ বাঁচে লক্ষণের।
আরও পড়ুন- গিনিস বুকে উঠতে চলেছে কেরলের ৮৬ বছরের হাতি 'দক্ষায়িনী'
সে তো গেল না হয় পুরাণের কথা। এই ঘটনার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে ঢের। তবুও, এমন একটি গাছের কথা বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ পাওয়া যায়। আর তাই এবার সেই সঞ্জিবনী বৃক্ষের জন্য খোঁজ শুরু করতে চায় উত্তরাখণ্ড সরকার। তবে, এই কাজে এখনই সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই অগত্যা একাই রাজ্য সরকারকে এই কাজে নামতে হচ্ছে।
ঠিক করা হয়েছে প্রথম ধাপে উত্তরাখণ্ডের দ্রোণগিরি পর্বতের আশপাশে এই গাছের খোঁজ চালানো হবে। এলাকাটি ভারত-চিন সংলগ্ন।