মোদীর হাত ধরেই ভারত-মার্কিন সম্পর্ক চাঙ্গা হওয়ার ইঙ্গিত আমেরিকার
দক্ষ প্রশাসক হওয়ায় নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও চাঙ্গা হতে পারে বলে আশা করছে আমেরিকা। মোদীকে নিয়ে ওয়াশিংটনের এই ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের এক বিশেষ রিপোর্টে। মোদীর কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা বা ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়েও ওই রিপোর্টে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: দক্ষ প্রশাসক হওয়ায় নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও চাঙ্গা হতে পারে বলে আশা করছে আমেরিকা। মোদীকে নিয়ে ওয়াশিংটনের এই ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের এক বিশেষ রিপোর্টে। মোদীর কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা বা ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়েও ওই রিপোর্টে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
দেশবাসীর ভোটে তিন দশকে প্রথমবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দিল্লির মসনদে বসেছেন। এবার সেই নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশংসা উঠে এল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাকারি নথিতে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে উল্লেখ করেছে মার্কিন কংগ্রেসের এক বিশেষ রিপোর্ট। ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কে ভারতের নতুন সরকারের প্রভাব নিয়ে সেদেশের জনপ্রতিনিধিদের জন্য ওই রিপোর্টটি তৈরি করেছে মার্কিন কংগ্রেসের গবেষণা বিভাগ।
পিটিআই সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, কার্যকরী এবং হয়তো কিছুটা স্বৈরাচারি প্রশাসক হিসেবেই নরেন্দ্র মোদী পরিচিত। তাঁর জমানায় গুজরাতে অর্থনৈতিক উন্নতি মোদীর ভাবমূর্তিকে যথেষ্ট উজ্জল করেছে। বাণিজ্য মহলের ঘণিষ্ট নরেন্দ্র মোদীর সরকার আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে অনেক বেশি আগ্রহী হবে বলে মনে করছেন কংগ্রেসের গবেষকরা।
এমনকী তাদের মতে মোদীর আমলে বিদেশ নীতির প্রশ্নে ভারত তার দীর্ঘদিনের জোট নিরপেক্ষ অবস্থান থেকেও সরে আসতে পারে। তবে এধরণের নীতিগত বিষয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে ঐক্যমত না থাকার কথাও স্পষ্ট বলা রয়েছে ওই মার্কিন রিপোর্টে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর ওপর দেশবাসীর পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশার চাপ রয়েছে। সেই প্রত্যাশা মোদী আদৌ কতটা পূরণ করতে পারবেন তা নিয়ে ওই রিপোর্টে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করা হযেছে। রিপোর্টে উঠে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক অবস্থানের প্রসঙ্গও। হিন্দু জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে করা মোদীর কোনও মন্তব্য থেকে ভারত-পাক সম্পর্কের অবনতির সম্ভাবনা আছে বলে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।