উত্তর প্রদেশে গণধর্ষণের পর মহিলাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জীবন্ত জ্বালিয়ে মারল দুষ্কৃতীরা
প্রাথমিক তদন্তে নেমে ধৃতদের আরাম সিং, মহাবীর, চরণ সিং, গুল্লু ও কুমারপাল বলে সনাক্ত করেছে পুলিস। ধৃতরা একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তারা বেশ কয়েক মাস ধরে ওই মহিলাকে উত্যক্ত করছিল বলে জানা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের হাড় হিম করে দেওয়ার মতো ধর্ষণের ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশে। সেরাজ্যের সাম্ভাল জেলায় রাজপুরা থানা এলাকায় বছর ৩৫-এর মহিলাকে গণধর্ষণের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল মন্দিরের যজ্ঞশালায় এনে। নিহত মহিলার স্বামীর দাবি, তাঁকে পুড়িয়ে মারার আগে পুলিসকে ১০০ ডায়ালে ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন ওই মহিলা। কিন্ত ফোনের ওপারে কোনও সাড়া মেলেনি। ঘটনায় ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।
জানা গিয়েছে, নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর রাত ২.৩০ মিনিট নাগাদ। ঘুমের মধ্যেই ওই মহিলার ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মহিলার ২ সন্তান রয়েছে। গাজিয়াবাদে শ্রমিকের কাজ করেন তাঁর স্বামী।
এফআইআর-এ নিহত মহিলার স্বামী লিখেছেন,'শনিবার ভোর রাত ২.৩০ মিনিট নারাদ দরজা ভেঙে আমার ঘরে ঢোকে ৫ দুষ্কৃতী। এর পর দফায় দফায় তারা আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় বাইরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। ঘটনার পর আমাকে ও আমার ভাইকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন স্ত্রী। কিন্তু যোগাযোগ করতে না-পারায় এক আত্মীয়কে ফোনে ঘটনার কথা জানান তিনি। ঘটনার কথা পুলিস ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানানোর আগে ফিরে আসে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দিরের যজ্ঞশালায়। সেখানে তাঁকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় ৫ ধর্ষক।
প্রাথমিক তদন্তে নেমে ধৃতদের আরাম সিং, মহাবীর, চরণ সিং, গুল্লু ও কুমারপাল বলে সনাক্ত করেছে পুলিস। ধৃতরা একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তারা বেশ কয়েক মাস ধরে ওই মহিলাকে উত্যক্ত করছিল বলে জানা গিয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরে ৫১ বিধায়ককে নিয়ে নতুন সরকার গঠন বিজেপির?
পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে নেমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিস। মহিলার শেষ ফোন কলের রেকর্ডিং মিলেছে। যাতে পাঁচ অভিযুক্তের নাম বলেছেন নির্যাতিতা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।