`অপরাধ` এশিয়া কাপে পাকিস্তানের জয়ে মেতে ওঠা, শাস্তি স্বরূপ ৬৭ জন কাশ্মীরি ছাত্র বহিষ্কৃত উত্তরপ্রদেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে

রবিবার এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয়ে আনন্দে মেতেছিল ওরা ৬৭ জন। সেই `অপরাধে` ৬৭ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে উত্তরপ্রদেশের এক নামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কৃত করল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সটান তাঁদের সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল।

Updated By: Mar 5, 2014, 09:00 PM IST

রবিবার এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয়ে আনন্দে মেতেছিল ওরা ৬৭ জন। সেই `অপরাধে` ৬৭ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে উত্তরপ্রদেশের এক নামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কৃত করল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সটান তাঁদের সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল।

স্বামী বিবেকানন্দ সুভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মনজুর আহমেদ বুধবার মিডিয়ার কাছে এই খবর জানান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আহমেদের মন্তব্য ``কিছু ছাত্রদের এই ধরণের আচরণে আমি হতবাক হয়ে গেছি।``

যদিও, শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা এই বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মদন ধিঙ্গা হলে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখছিলেন বহিষ্কৃত ৬৭ জন কাশ্মীরি। ভারতের প্রতিটি উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন তাঁরা। পাকিস্তান ম্যাচ জিতে যাওয়ার পর নিজেদের মধ্যেই আনন্দে মাতেন তাঁরা।

একটি জনপ্রিয় হিন্দি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আর কে গার্গ জানিয়েছেন ``ওই ছাত্ররা ক্যাম্পাসের মধ্যে ঝামেলা পাকাচ্ছিল। গলা ফাটিয়ে পাকিস্তানের হয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। ওদের জন্য ক্যাম্পাস জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর ওদেরকে বহিষ্কার করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না।``

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল ওই ছাত্ররা বুঝি তাঁদের কাছে এসে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু অভিযুক্ত ছাত্ররা কোনও রকম ক্ষমা প্রার্থনার বিন্দুমাত্র চেষ্টাই করেননি। এরপরেই কর্তৃপক্ষ ৬৭ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন।

রবিবার কাশ্মীরি ছাত্ররা পাকিস্তানের হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করলে আশেপাশের হোস্টেলের স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের কাছে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরি ছাত্রদের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিস থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন।

বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের ২০০ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শাখায় পড়াশোনা করছেন। পুলিস সূত্রে খবর জেলা প্রশাসন বা পুলিসের সঙ্গে বিন্দুমাত্র কোনও আলোচনা না করেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬৭ জন ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন মীরাটের মত সাম্প্রদায়িক বিষয়ে সংবেদনশীল একটি জায়গায় কোনও রকম সাম্প্রদায়িক হানাহানি এড়িয়ে যেতে সতর্কতার জন্য ওই ছাত্রদের বহিষ্কার করেছেন।

.