ফতেপুরে পোঁতা আছে ২,৫০০ সোনা, স্বপ্নে দেখলেন শোভান সরকার

উত্তর প্রদেশের ১৯ শতকের কেল্লায় হাজার টন সোনার খোঁজে খনন আজ দ্বিতীয় দিনে পড়ল। তারমধ্যেই আরও তাল তাল সোনার সন্ধান দিলেন সাধু শোভন সরকার। তাঁর দাবি উন্নাওয়ের চেও বড় যক্ষের ধন পোঁতা রয়েছে এই রাজ্যেরই ফতেপুরের আদামপুর গ্রামে। ফতেপুরের জালা শাসক অভয় কুমারকে সেকথা চিঠি লিখে জানিয়েছেন শোভন বাবা। তাঁর দাবি সেখানে ২,৫০০ টন সোনা পোঁতা রয়েছে।

Updated By: Oct 19, 2013, 12:53 PM IST

উত্তর প্রদেশের ১৯ শতকের কেল্লায় হাজার টন সোনার খোঁজে খনন আজ দ্বিতীয় দিনে পড়ল। তারমধ্যেই আরও তাল তাল সোনার সন্ধান দিলেন সাধু শোভন সরকার। তাঁর দাবি উন্নাওয়ের চেও বড় যক্ষের ধন পোঁতা রয়েছে এই রাজ্যেরই ফতেপুরের আদামপুর গ্রামে। ফতেপুরের জালা শাসক অভয় কুমারকে সেকথা চিঠি লিখে জানিয়েছেন শোভন বাবা। তাঁর দাবি সেখানে ২,৫০০ টন সোনা পোঁতা রয়েছে।
অন্যদিকে হাজার টন সোনা উদ্ধারের খোঁজে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কর্মীরা দিনরাত কেল্লা খুঁড়ে চলেছেন। আর তা দেখতে কার্যত মেলা বসে গিয়েছে কেল্লার বাইরে। একটা পরিত্যক্ত ভাঙা কেল্লা। সাপখোপ আর বদলোকের ভয়ে গ্রামের সচরাচর কেউ সেদিকে পা বাড়াতেন না। কিন্তু হলটা কী? সব ভিড় যে এখন সেখানেই।
ভিড় হবে নাই বা কেন। একে পুরনো কেল্লা। তাতে আবার গুপ্তধনের গন্ধ। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে এক সাধুবাবার স্বপ্ন। রহস্যগল্পের সব টানটান উপাদানই এখানে হাজির।
এসবের সৌজন্যে শোভন সরকার নামে এক সাধু। তাঁর দাবি, কেল্লার নীচেই রয়েছে এক হাজার টন সোনা। কী করে জানলেন তিনি? সিপাহি বিদ্রোহের সময় দৌণ্ডিয়া খেরার রাজা ছিলেন রাও রাম বক্স সিং। বিদ্রোহের পর তাঁর মৃত্যু হয়। সাধুর দাবি, প্রয়াত রাজা রামবক্স সিংই স্বপ্নে তাঁকে গুপ্তধনের কথা জানিয়েছেন। স্থানীয় গ্রামসভার সদস্যদের সেকথা জানাতেই শুরু হয় হইচই। খবর পৌঁছয় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চরন দাস মোহন্তের কাছে। মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এলাকা পরিদর্শন করে জিওলজিক্যাল এবং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। শুক্রবার সকালে ভাঙা কেল্লায় খনন শুরু করে এএসআই। সময়মতো পৌঁছে গিয়েছিলেন ছজন প্রতিনিধি। তাঁরা পৌঁছতেই গ্রামের মন্দিরে পুজোপাঠ শুরু করে দেন সাধুসন্ন্যাসীরা।

.