উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুর পর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারের আশ্বাস যোগী আদিত্যনাথের

নির্যাতিতা পুলিসকে বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, রায়বেরলি যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ স্টেশন পৌঁছন। এ দিন ধর্ষণ মামলায় তাঁর শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁকে ধাওয়া করে পাঁচ দুষ্কৃতী

Updated By: Dec 7, 2019, 01:16 PM IST
উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুর পর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারের আশ্বাস যোগী আদিত্যনাথের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: দোষীদের দ্রুত শাস্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার হবে, উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুর পর এমনটা জানালেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু নির্যাতিতা যখন বেঁচে ছিলেন, ধর্ষণ হওয়ার চার মাস পর এফআইআর দায়ের হয়। শুক্রবার রাত ১১.৪০ নাগাদ দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।

আদিত্যনাথ জানান, নির্যাতিতার মৃত্যু খবর শুনে মর্মাহত। দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে এই মামলার শুনানি হবে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে। সে রাজ্যের আইনমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, আদালতের কাছে প্রতিদিন শুনানির আবেদন জানানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নির্যাতিতা যখন বেঁচে ছিলেন, দ্রুত বিচার চেয়েও পাননি। ২০১৮ সালে ১২ ডিসেম্বর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে শিবম ও শুভম নামে দুই দুষ্কৃতী। এই ঘটনার চার মাস পর নির্যাতিতার অভিযোগ নেয় পুলিস। তা-ও আদালতের হস্তক্ষেপে।

যোগী রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সরব বিরোধীদের। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, যে রাজ্যে ধর্ষণ হওয়ার ৪ মাস পর এফআইআর হয়, সেখানে মহিলারা কীভাবে সুরক্ষিত থাকতে পারেন। এ দিন হাসপাতালের ‘বার্ন ও প্লাস্টিক’ ডিপার্টমেন্টের প্রধান চিকিত্সক শলভ কুমার জানান, রাত ১১.১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন নির্যাতিতা। শেষমেশ ১১.৪০-এ তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন- মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে, রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

নির্যাতিতা পুলিসকে বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, রায়বেরলি যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ স্টেশন পৌঁছন। এ দিন ধর্ষণ মামলায় তাঁর শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁকে ধাওয়া করে পাঁচ দুষ্কৃতী। যার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী এবং শুভম ত্রিবেদীও ছিল। তারা প্রথমে লাঠি দিয়ে নির্যাতিতার পায়ে সজোরে আঘাত করে। গলায় ছুরি চালায়। এরপর পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগা অবস্থা নির্যাতিতা ছুটতে ছুটতে প্রাণ ভিক্ষা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বিমানে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। নির্যাতিতার শরীর ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিত্সকরা জানান।    

.