Manipur Violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর, কুকি-মেইতেই গুলির লড়াইয়ে হত ২
Manipur Violence:সাম্প্রতিক ওই গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে ইন্ডিজেনাস ট্রাইবা লিডারস ফোরামের দাবি, গুলি চলেছে খইরেনটাক এলাকার একটি গ্রামে। তাতেই মারা গিয়েছে গ্রাম রক্ষী বাহিনীর একজন। তিরিশ বছর বয়সী ওই রক্ষীর নাম জানগিলাম গাংতে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এত হইচই, সংসদে অনাস্থা আনার পরও থামছে মণিপুরের হিংসা। নতুন করে হওয়ায় গুলিগোলায় প্রাণ হারালেন ২ জন। আহত হয়েছেন ৭ জন। ঘটনাটি ঘটেছে কুকি উপজাতি অধ্যুসিত চুড়াচাঁদপুর ও মেইতেই অধ্যুসিত বিষ্ণুপুর সীমান্তে। অন্য একটি ঘটনায় রাজ্যে এক কৃষককে গুলি করেছে জঙ্গিরা। এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন-সাতসকালে ধান জমি থেকে উদ্ধার মহিলার নলিকাটা লাশ, চাঞ্চল্য এলাকায়
মেইতেই ও কুকি উপজাতিদের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল মণিপুর। টানা প্রায় ২ মাস ধরে চলে হিংসার পর দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে চলে আসে। তখনই ফাঁস হয় দুমাস ধরে কী চলছে রাজ্যে। গুলি, দলেবল জুটিয়ে নিয়ে এসে হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে মণিপুরের বিভিন্ন জায়গায়। বহু দিনের বিধায়ক থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্ত্রীকে পর্যন্ত ছেড়ে কথা বলেনি হামলাকারীরা। টানা ২ মাস সংঘর্ষ থামানোর তেমন কোনও ব্যবস্থাই করেনি সরকার। এমনই অভিযোগ নিয়ে সংসসদের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে বিরোধীরা। সেখানে অণিত সাহ মণিপুর নিয়ে কিছ বললেও প্রধানমন্ত্রী তেমনকিছুই এনিয়ে সংসদে বলেননি।
সাম্প্রতিক ওই গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে ইন্ডিজেনাস ট্রাইবা লিডারস ফোরামের দাবি, গুলি চলেছে খইরেনটাক এলাকার একটি গ্রামে। তাতেই মারা গিয়েছে গ্রাম রক্ষী বাহিনীর একজন। তিরিশ বছর বয়সী ওই রক্ষীর নাম জানগিলাম গাংতে। মণিপুর পুলিস অবশ্য বলছে নতুন করে হওয়া গোলাগুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতজন আহত। তবে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় অসম পুলিস, জেলা পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সূত্রে খবর, মণিপুরের খইনেনটাক ও থিনুনগেই এলাকায় প্রায়ই গুলির লড়াই চলছে দুপক্ষের মধ্যে।
এদিকে, থিনুনগেই মানিং লেইকাই এলাকায় এক কৃষককে গুলি করেছে জঙ্গিরা। তিনি যখন মাঠে কাজ করছিলেন তখনই তাকে নিশানা করে জঙ্গিরা। নিহত ওই কৃষের নাম সালোম জতিন। তার বুকে বুলেট লেগেছে। ইম্ফলের একটি হাসপাতালে তার চিকিত্সা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে মণিপুরের বিভিন্ন জায়গায় মেইতিই ও কুকুদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এখনওপর্যন্ত ওই সংঘর্ষে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনায় এখনওপর্য়ন্ত ৫ হাজার এফআইআর রুজু হয়েছে। একসময় ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আপাতত তা তুলে নেওয়া হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্য়ায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তার পরেও হিংসা যেন থামছেই না।