Tripura: বিধায়ক পদে ইস্তফা সুদীপ রায় বর্মনের, নির্বাচনের আগে ধাক্কা বিজেপি শিবিরে!
বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদেও ইস্তফা দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্মশিবির (BJP) ছাড়লেন সুদীপ রায় বর্মন (Sudip Roy Barman)। শুধু তাই নয় ইস্তফা দিলেন বিধায়ক পদে। সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গেই পদত্যাগ করলেন আশিস সাহা (Ashis Saha)। বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদেও ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। দুই নেতাই ইস্তফা দেওয়ার পরে দিল্লি গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তিনি বরাবরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb) বিরোধী বলে পরিচিত এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও সুবিদিত। গণতন্ত্রে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে বলে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। আর তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে আর লড়বেন না তিনি। এই পদত্যাগ বিপ্লব দেব শিবিরে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আমি সুদীপ রায় বর্মন এবং মাননীয় আশিস কুমার সাহা আজ ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমাদের পদত্যাগ পত্র আমরা বিধানসভার অধ্যক্ষ সম্মানীয় রতন চক্রবর্তীর হাতে তুলে দিয়েছি। pic.twitter.com/nNDaZF9AfO
— Sudip Roy Barman (@SudipRoyBarman1) February 7, 2022
আরও পড়ুন, UP Assembly Polls 2022: সোমবার উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন মমতা, মঙ্গলে সাংবাদিক বৈঠক
ত্রিপুরা বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ। বিধায়ক পদ ও দল থেকে পদত্যাগ করলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং বিধায়ক আশিষ সাহা। এ দিন ইস্তফা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের বিজেপি সরকাররে বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, তার ধারে কাছেও যায়নি সরকার। রাজ্যে গণতন্ত্রের খোলামেলা পরিবেশ থাকা প্রয়োজন, যেখানে মানুষ খোলাখুলি আলোচনা করতে পারবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস সাহা ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেই সময়ই তাঁদের অবস্থান নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। গত কয়েকমাসে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে এই দুই নেতা বৈঠক করেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে অতি সম্প্রতি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সুদীপ রায় বর্মন বৈঠক করেন বলেও শোনা গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন সুদীপ। আবার এক পক্ষ বলছেন, কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়বেন তিনি। ফলে তাঁদের এদিনের দিল্লি যাত্রার পরেই আপাতত এই দুজনের পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থান জানা যাবে।