ত্রিপুরায় সব আসনে জয়ের লক্ষ্য বামেদের
জয়-পরাজয় নয়, বিধানসভা নির্বাচনে ষাটটি আসন দখলই ত্রিপুরায় বামেদের টার্গেট। আগরতলায় এক বিরাট সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আবেদন, সব আসনেই জয়ী করুন বাম প্রার্থীদের। তাহলে তা দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। একই সুর শোনা যায় সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাতের গলায়ও।
জয়-পরাজয় নয়, বিধানসভা নির্বাচনে ষাটটি আসন দখলই ত্রিপুরায় বামেদের টার্গেট। আগরতলায় এক বিরাট সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আবেদন, সব আসনেই জয়ী করুন বাম প্রার্থীদের। তাহলে তা দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। একই সুর শোনা যায় সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাতের গলায়ও।
দেশজুড়ে একশ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করার দাবি প্রথম তোলে বামেরা। তাঁদের দাবিতেই প্রথম ইউপিএ সরকার এই প্রকল্প চালু করে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বা কেরালা কোথাওই সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি এই প্রকল্প। ব্যতিক্রম বামশাসিত ত্রিপুরা।
একশ দিনের কাজের প্রকল্পে এই মুহূর্তে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে এক নম্বরে। আর এই সাফল্য নির্বাচনী লড়াইয়ে মানিক সরকারদের অন্যতম বড় হাতিয়ার। গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে ৮৬ দিন কাজ হয়েছে ত্রিপুরায়। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৭৫ দিন। মানিক সরকারের দাবি, শুধু গ্রামীণ প্রকল্পের সাফল্যই নয়, সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করে, শান্তি ফিরিয়ে আনাও তাঁর সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য। আর এই দুই সাফল্যই নির্বাচনী প্রচারে বামেদের অস্ত্র।
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের প্রাক্কালে, রবিবার আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে বামেদের সমাবেশে কার্যত মানুষের ঢল নামে। সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ষাটটি আসনেই বাম প্রার্থীদের জয়ী করার আবেদন জানান। তাঁর দাবি, বিকল্প উন্নয়নের মাধ্যমে যে গতিতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্য এগোচ্ছে তাতে আগামী পাঁচ বছরে দেশের সামনে দৃষ্টান্ত হবে ত্রিপুরা। কংগ্রেসের দলীয় কাজিয়া বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে বামেদের। রাজ্যের বহু জেলাতেই শয়ে শয়ে কংগ্রেস কর্মী বাম শিবিরে যোগদান করছেন।