লাইন পারাপার করতে গিয়ে বিহারে ট্রেনের ধাক্কায় হত ৩৭
বিহারে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত ৩৭ জনের। দুর্ঘটনাটি ঘটে সহরসার ধামারা স্টেশনের কাছে। নিহতদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী। লাইন পারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাজ্যরানি এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩৭ জনের।
বিহারে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল ৩৭ জনের। দুর্ঘটনাটি ঘটে সহরসার ধামারা ঘাট স্টেশনের কাছে। নিহতদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী। নিহতদের মধ্যে ৩০ জনই মহিলা। লাইন পারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সহরসা থেকে পটনা যাচ্ছিল রাজ্যরানি এক্সপ্রেস। ধামারা স্টেশনে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় রাজ্যরানি এক্সপ্রেসকে অন্য লাইন দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছিল।
ওই লাইনের ওপরেই বসেছিলেন তীর্থযাত্রীরা। দুর্ঘটনার পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মানুষ। পাথর ছুঁড়ে আটকে দেওয়া হয় ট্রেনটিকে। ভাঙচুর শুরু হয় ধামারা স্টেশনেও। উত্তেজিত জনতা ট্রেনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন পাটনার এডিজি আইনশৃঙ্খলা এস কে ভরদ্বাজ। ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
দেখে নেওয়া যাক এই দুর্ঘটনা নিয়ে কে কী বললেন--
অধীর চৌধুরী-- বিহারের ধামারা ঘাটে ট্রেন দুর্ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। এলাকায় একটি মেলা উপলক্ষে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে রেলের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
শরদ যাদব- দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার সময় এটা নয়। যত দ্রুত সম্ভব নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন জেডিইউ নেতা শরদ যাদব।
রামবিলাস পাসোয়ান- রেলের গাফিলতির কারণেই ঘটেছে এত বড় দুর্ঘটনা। এমনই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরও কার্যত উদাসীন রাজ্য সরকার।
লালুপ্রসাদ যাদব- দুর্ঘটনার পরও কোনওরকমভাবে এগিয়ে আসেনি স্থানীয় প্রশাসন। এমনই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবার পিছু দশ লক্ষ টাকা সাহায্যেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এস কে ভরদ্বাজ- দুর্ঘটনার পর রাজ্যরানি এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত বাহিনী। জানিয়েছেন পাটনার এডিজি আইনশৃঙ্খলা এস কে ভরদ্বাজ।