গুটখা দুর্নীতি কাণ্ডে খোদ তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের
২০১৩ সালে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে তামিলনাড়ুর সরকার। ২০১৬ সালে আয়কর দফতরের এক অভিযানে এক কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ তামাকজাত পণ্য
নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। গুটখা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর, ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিস টি.কে. রাজেন্দ্রন, প্রাক্তন পুলিস কমিশনার এস জর্জ-সহ একাধিক হেভিওয়েট কর্তাদের বাড়িতে তল্লাসি চালাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
২০১৩ সালে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে তামিলনাড়ুর সরকার। ২০১৬ সালে আয়কর দফতরের এক অভিযানে এক কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ তামাকজাত পণ্য। তদন্তে নেমে জানা যায়, চেন্নাইয়ে ফের গুটখা বিক্রি চালু করতে সরকারের এক মন্ত্রী, পুলিস কর্তা ও উচ্চপদস্থ আমলাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দেন ওই কারখানার মালিক মাধব রাও। বিরোধীদের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এই তদন্তের ভার দেওয়া হোক। যদিও এ বিষয়ে আমল দেয়নি ক্ষমতায় থাকা পালানিস্বামী সরকার।
আরও পড়ুন- পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে রঞ্জন গগোইয়ের নাম সুপারিশ করলেন দীপক মিশ্র
চলতি বছর এপ্রিলে ডিএমকে বিধায়ক জে আনবাঝাগনের আবেদন করা এক মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট গুটখা দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয় সিবিআই-কে। এরপরই বুধবার বড়সড় অভিযান চালালো সিবিআই। জানা গিয়েছে, ৪০টি জায়গায় তল্লাসি চালান তদন্তকারীরা। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্করের বাড়ি এবং ডিজিপি টিকে রাজন্দ্রনের মোগাপ্পেয়ার ও প্রাক্তন সিপির মাদুরাভয়ালের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের একাধিক দল।
আরও পড়ুন- লং মার্চের পর ফের পথে বামেরা, সংসদ অভিযানে হাতে হাত ব্যারিকেডে কিষাণ-মজদুর
অভিযোগ, চেন্নাইয়ে তমাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও পুলিসের পরোক্ষ মদতে অবাধে চলছে এই ব্যবসা। এমনকি নেতা-মন্ত্রীদের ‘আশীর্বাদের হাত’ রয়েছে বলেও কটাক্ষ করে থাকে বিরোধীরা। তবে, সিবিআইয়ের এই হানা পালানিস্বামীর সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে মত রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের।