দিনরাত বাবুদের চাহিদা মিটিয়ে 'এটাই' ওঁদের 'অহঙ্কার'!!!

প্রশ্নটা করতেই ঝড় ধেয়ে এল যেন। সে ঝড়ের একদিকে গ্লানি, একদিকে ক্ষোভ। আবার আরেকদিকে যেন মিশে রয়েছে প্রছন্ন 'অহঙ্কার'! কিন্তু সমাজ থেকে এভাবে বঞ্চিত হয়ে থেকেও কীসের 'অহঙ্কার' ওঁদের? মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল কথাগুলো। ওঁদের অহঙ্কার 'কাস্টমার'-এর অতৃপ্ত যৌনচাহিদাকে পুষিয়ে দেওয়ার। 'কাস্টমার'-এর স্বপ্নের 'হিরোইন'-এর মত 'ফোরপ্লে' করার। যা ঠিক 'সাধারণ মেয়ে-বউরা' পারে না। আর সেখানেই ওঁদের 'অহঙ্কার' সবার থেকে 'আলাদা' হওয়ার!

Updated By: Aug 17, 2016, 06:02 PM IST
দিনরাত বাবুদের চাহিদা মিটিয়ে 'এটাই' ওঁদের 'অহঙ্কার'!!!

ওয়েব ডেস্ক : প্রশ্নটা করতেই ঝড় ধেয়ে এল যেন। সে ঝড়ের একদিকে গ্লানি, একদিকে ক্ষোভ। আবার আরেকদিকে যেন মিশে রয়েছে প্রছন্ন 'অহঙ্কার'! কিন্তু সমাজ থেকে এভাবে বঞ্চিত হয়ে থেকেও কীসের 'অহঙ্কার' ওঁদের? মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল কথাগুলো। ওঁদের অহঙ্কার 'কাস্টমার'-এর অতৃপ্ত যৌনচাহিদাকে পুষিয়ে দেওয়ার। 'কাস্টমার'-এর স্বপ্নের 'হিরোইন'-এর মত 'ফোরপ্লে' করার। যা ঠিক 'সাধারণ মেয়ে-বউরা' পারে না। আর সেখানেই ওঁদের 'অহঙ্কার' সবার থেকে 'আলাদা' হওয়ার!

কেউ এসেছেন বাধ্য হয়ে 'মুক্তি' পেতে। কেউ আবার স্বেচ্ছাতেই এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন। দিনে ৭-৮ জন থেকে 'ভালো সময়ে' কখনও কখনও ১০-১২ জন খদ্দেরকে তুষ্ট করে চলেন তাঁরা। বিকৃত যে যৌনচাহিদার কথা কাউকে বলা যায় না, টাকার বিনিময়ে এখানে চলে সেই সুখ কিনে নেওয়া। বিয়ে-থা সংসার হয়নি বা বিপত্নীক, ঘরে অশান্তি, স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে অতৃপ্তি সবকিছু মিটিয়ে নিতেই 'বাবুরা আসে এখানে'। এশিয়ার সর্ববৃহত্ যৌনপল্লি সোনাগাছি থেকে বিশ্বের যে কোনও রেডলাইট এলাকার ছবিটা মোটামুটি একই। দুনিয়ার মধ্যেই এক অন্য দুনিয়ায় বাস ওঁদের।

'দিনে তিনবার স্নান। আর প্রত্যেকবার স্নানের মাঝে ৪ থেকে ৫ জন করে খদ্দের। ঘুপছি কুঠুরিতে রাতগুলো অনেক লম্বা। কিন্তু দিনটা ভীষণ ছোট।' বলে চলেন ১৩ বছর বয়সে সোনাগাছিতে আসা বিউটি। বলেন, 'যখন খুব কষ্ট হত, মুখে মেকআপ করে নিতাম। তাহলেই যেন আমি অন্য মানুষ।' এভাবেই দিন চলছিল বিউটির। দিন চলে আরও কয়েকশো 'বিউটির'। তারপর কোনও একদিন কোনও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে কখনও কখনও এই নরক থেকে 'মুক্তি' মেলে ওঁদের। আর কখনও কখনও জানলার গারদের শিক ধরে দাঁড়িয়েও 'কাস্টমার' খোঁজে ৬০ বছরের অশক্ত শরীরটা। 

.