পদপিষ্টর আশঙ্কা এড়াতেই দরবার ছাড়েন কেজরিওয়াল, আশ্বাস নিরাপত্তা বাড়ানোর

আম আদমি পার্টির প্রথম জনতা দরবার ভেস্তে গেল। ভিড় বাড়ছিলই। পদপিষ্ট হওয়ার ভয়েই দরবার ছাড়তে বাধ্য হন কেজরিওয়াল। এমনটাই দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন শনিবারের দরবারের নিরাপত্তায় যথেষ্ঠ খামতি ছিল।

Updated By: Jan 11, 2014, 05:48 PM IST

আম আদমি পার্টির প্রথম জনতা দরবার ভেস্তে গেল। ভিড় বাড়ছিলই। পদপিষ্ট হওয়ার ভয়েই দরবার ছাড়তে বাধ্য হন কেজরিওয়াল। এমনটাই দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন শনিবারের দরবারের নিরাপত্তায় যথেষ্ঠ খামতি ছিল।

তিনি বলেন, "আমরা নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হবে। আমি ওখান থেকে চলে না গেলে পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রত্যাকেই চাইছিলেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে।" ভবিষ্যতে এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা সেই দিকেও খেয়াল রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।

জনতার দরবারে বিশৃঙ্খলার জেরে মাঝপথেই সভা ছেড়ে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জনতার দরবারে আসেন কেজরিওয়াল। দরবার চলার কথা ছিল বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই ভিড় বিশৃঙ্খলার জেরে সভা ছেড়ে চলে যান আম আদমিরা।

এ দিন আইটিও থেকে রাজঘাট পর্যন্ত রাস্তা ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। গতকাল কেজরিওয়াল ঘোষনা করেন প্রতি শনিবার মন্ত্রিসভার সব সদস্য একসঙ্গে জনতার দরবার করবেন। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে সাধারণ মানুষের বক্তব্য শুনবেন মন্ত্রিসভার কোনও একজন সদস্য।

কেজরিওয়াল বলেন, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ যেকোনও সরকারের কাছে খুব বড় ব্যাপার। সরকারের কর্তব্য ক্ষোভ দূর করা। এটা শুধুই একটা উপসর্গ মাত্র, আসল অসুখ আরও গভীর। স্কুল ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সমক্রান্ত সমস্যার কথা শুনে তখনই তা সমাধান করা হবে। পরে এই বিষয়ে কখন আলোচনা সেই সময়ও জানিয়ে দেওয়া হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

শুধু বক্তব্য শোন নয়, মানুষ সরকারকে পরামর্শও দিতে পারেন। একটি কমিটি তৈরি করা হবে যারা নিয়মিত মানুষের পরামর্শ শুনবেন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন।

.