মোদীর জমানাতেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সংখ্যা নজিরবিহীন, বলছে সরকারি পরিসংখ্যানই
ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে প্রতারণার অঙ্ক ২৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ৮ হাজার ৩০০ কোটি প্রতারণার শিকার হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদী জমানাতেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি চলছে। কড়া আইন করেও রোখা যায়নি দুর্নীতি। সরকারি পরিসংখ্যানই দিচ্ছে প্রমাণ। লন্ডনে হাওয়া খাচ্ছেন বিজয় মালিয়া। বিলেতে জেলে থাকলেও, জলে পড়ে নেই নীরব মোদীও। আর দেশবাসীর দিন কাটছে আশঙ্কায়। পাসবুকে যা দেখাচ্ছে, ব্যাঙ্কেও কি সেই টাকাই রয়েছে? নাকি বিজয় মালিয়া-নীরব চোস্কির মতো কেউ নিয়ে উড়েছে?
এতদিন ব্যাঙ্ক প্রতারণার খবর হলেই কংগ্রেস জমানার দিকে আঙুল তুলতেন বিজেপি নেতারা। সব দুর্নীতি নাকি মনমোহন জমানাতেই হয়েছে। নির্মলা সীতারামন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। প্রতারণার অঙ্ক প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, চলতি বছরে সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মোট প্রতারণার পরিমাণ ৯৬ হাজার কোটি টাকা।
২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫৭৪৩টি প্রতারণা ধরা পড়েছে। অধিকাংশ প্রতারকই বহু বছর আগে ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে শোধ দেননি, দাবি নির্মলার। যদিও ১ হাজার মামলা এমনও রয়েছে যেখানে মোদী জমানায় ঋণ নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে ২৫০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার তথ্য সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন- পাঁচশো বছরের অযোধ্যা মামলা মাত্র ৪৫ মিনিটে মিটিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট: যোগী আদিত্যনাথ
ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে প্রতারণার অঙ্ক ২৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ৮ হাজার ৩০০ কোটি প্রতারণার শিকার হয়েছে। ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করে বাতিল করা হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর আইনও প্রণয়ন করেছে মোদী সরকার। তারপরেও প্রতারণায় বিরাম নেই। দুর্নীতি ঠিক তার পথ খুঁজে নিয়েছে। এমনকি প্রতারণার তালিকা থেকে বাদ যায়নি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।